০৫ মে ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
ওয়াজ মাহফিলে ধর্মে অবিশ্বাসীদের গলাকেটে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন এক শ্রেণির ওয়াজকারী। তাদের কেউ কেউ আবার সাহাবীদের আখ্যা দিচ্ছেন জঙ্গি হিসাবে। বিরোধীদের গণহারে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যারও হুমকি দিচ্ছেন অনেক বক্তা। এসব বয়ানকারীর বেশিরভাগ যুক্ত হেফাজতের সঙ্গে। ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, ভিন্ন মতাবলম্বীদের কটাক্ষ বা হত্যার হুমকি দেওয়া ইসলামের মূলনীতি বিরোধী। আর পুলিশ বলছে, ধর্মের নামে কেউ উগ্রবাদ ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরই মধ্যে ওয়াজে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলী হাসান উসামা নামে এ বক্তা ওয়াজ মাহফিলে যতটা না ধর্মীয় উপদেশ দেন, তার চেয়ে বেশি কটাক্ষ করেন ভিন্ন মতাবলম্বীদের। কখনো কখনো কটাক্ষ রূপ নেয় উগ্রবাদী বক্তব্যে। ওয়াজ মাহফিলে নির্দেশ দিচ্ছেন গলা কেটে হত্যার। শুধু তাই নয়, জঙ্গিবাদের পক্ষে প্রকাশ্যে সাফাই গাইছেন এ বক্তা।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আলী হাসান উসামা আমাদের কাছে আছে, আর তাকে আমরা নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি সাকিব নামে একজনকে। উসামাসহ আরও কয়েকজনের বক্তবে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তিনি।
আরেক ওয়াজকারী মাহমুদুল হাসান গুনবী। সাহাবীদের আখ্যা দিচ্ছেন জঙ্গি হিসাবে। বলছেন, মৌলবাদীরাই চালাবে পৃথিবী। হরহামেশাই উৎসাহ থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন হত্যার।
ইসলামী চিন্তাবিদ উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, মুসলমানকে অমুসলমান বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা এটা ইসলামে জঘন্যতম অপরাধ।
পিছিয়ে নেই হেফাজত নেতা নুর হোসাইন নূরানী। তালিকা তৈরি করে গাছে ঝুলিয়ে হত্যার অভিলাষ চরিতার্থ করতে চান এ ওয়াজকারী।
নুর হোসাইন নূরানী বলেন, রায় দেব- গাছে গাছে ফাঁসিতে ঝুলতে থাকবে। এ ধরনের বক্তব্যকে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি দাবি করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, হেফাজত যে লাগাহীন কথা বলে যাচ্ছে। একটা কাউন্টার বক্তব্য থাকে যে, হেফাজত যেটা বলছে সেটা আসলে প্রকৃত ধর্ম নয়। তার একটা প্রভাব অবশ্যই মানুষের মাঝে পড়বে।
উগ্রবাদী বক্তব্য রোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মনিটরিং করার পরামর্শ তাদের।