২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বাবাকে নিতে আসতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলের মুত্যু, দু’ বন্ধু মারাত্নক জখম বানারীপাড়ায় বসতঘরে লাগা আগুনে শতবর্ষী বৃদ্ধার করুন মৃত্যু ! বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঝালকাঠিতে মৎস্য কর্মকর্তার ৩ ঘন্টার অভিযানে ১ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ বৃষ্টি প্রত্যাশায় ইস্তিস্কার নামাজে কাঁদলেন ঝালকাঠিবাসী দামুড়হুদায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বরিশালে মাদক মামলার রায়ে অভিযুক্ত খালাস, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী নেতাদের নিয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা কে এম পি খালিশপুর থানা পুলিশের অভিযানে অনলাইন ডিজিটালাইজড প্রতারক চক্রের ২সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার।
পদ্মার তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ, আলোকিত হবে ফরিদপুরের ৮৮ গ্রাম।

পদ্মার তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ, আলোকিত হবে ফরিদপুরের ৮৮ গ্রাম।

আজকের ক্রাইম ডেক্স
ফরিদপুর সদর, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবারের অন্তত লক্ষাধিক মানুষের বসবাস পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে। এখানকার মানুষ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাকা সড়কতো দূরের কথা, কাঁচা রাস্তাঘাটও নেই।

সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গম ওই চরের মানুষের ঘরে সন্ধ্যা নেমে এলেই সেই আদিম যুগের মতো কেরোসিনের কুপি-বাতি আর হারিকেনের আলোই একমাত্র ভরসা।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত এই মানুষগুলো ভাবতেও পারেনি বিদ্যুতিক সুবিধার কথা। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে তাদের মাঝে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।

পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ফরিদপুরের দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে জেলার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। ইতোমধ্যেই দুই হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন হলে বিদ্যুতের সুবিধা পাবে ১০ হাজার পরিবার। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার বিদ্যুৎ পেয়ে উচ্ছ্বসিত চরাঞ্চলের মানুষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সংযোগের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর।

ডিগ্রিরচরের নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে খুশি আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘কখনও ভাবিনি, পদ্মার এই চরে বিদ্যুৎ আসবে। আর সেই বিদ্যুৎ দিয়ে বাড়িতে টেলিভিশন, ফ্রিজ, ফ্যান চলবে। ছেলেমেয়েরা এখন বিদ্যুতের আলোতে পড়ালেখা করতে পারছে। এতো কাল হারিকেনের আলোয় পড়ত তারা।’

এই এলাকায় রাজ্জাকের মতো আরও অনেক পরিবারের এখন খুশির বন্যা বইছে। যেখানে কৃষক কখনও ভাবেনি বিদ্যুৎ দিয়ে সেচের ব্যবস্থা হবে। এখন সেটি বাস্তবে সম্ভব হচ্ছে।

ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রমতে, তিনটি উপজেলার মোট ১০টি ইউনিয়নে ৮৮টি গ্রামকে আলোকিত করতে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের কাজ করছে জেলার এই প্রতিষ্ঠান।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাসান জানান, ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকাজের ইতোমধ্যে ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে পদ্মার ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রির চরের ২০১টি পরিবার, একটি বাণিজ্যিক ও তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার চরাঞ্চলে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ সুবিধা। ১১ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল লাইনের মাধ্যমে মোট দুই পরিবারের মাঝে সংযোগ দেয়া হয়েছে।

সদর উপজেলার ডিগ্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির জানান, সম্প্রতি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন টেনে প্রথম পর্যায়ে ২০১টি পরিবারকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া হয়েছে। অন্যদেরও দেয়ার কাজ চলছে। গ্রামের মানুষ সরকারের প্রতি অনেক খুশি। এখন তাদের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে চরাঞ্চলে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019