২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদন::দীর্ঘ তিন মাস পর অবশেষে চালু হল বরিশাল জেনারেল সদর হাসপাতালটির এক্সরে মেশিন। তিন মাস যাবত ট্রান্সফর্মার অকেজো হয়ে পড়ে থাকলেও পদস্থ কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় এই হাসপাতালটির এক্সরে মেশিন বন্ধ থাকে ফলে সাধারণ রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। আর দূর-দূরান্ত থেকে আসা অসহায় রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শে যেতে হতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে ফলে অর্থ সংকটের কারণে এক্সরে করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তো। বিষয়টি হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানালেও তারা গুরুত্বসহকারে না দেখায় ৩ মাস যাবত অকেজো থাকার পরে অবশেষে একক চেষ্টায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোঃ খলিলুর রহমান এটি পুনরায় সহযোগিতা করেন সদরহাসপাতাল টির তত্ত্বাবধায়ক এবং জেলা সিভিল সার্জন।আর এ কারণে স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ রোগীদের মাঝে তারা এখন অল্প টাকায় এক্সরে করাতে পারছে বরিশাল সদর হাসপাতাল থেকেই। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোঃ জলিলুর রহমানের সাথে। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এটি নিউ ডায়গনমেক্স ৫০০ এম এ ১৯৮২ সনে সদর হাসপাতাল স্থাপনের পর থেকেই সে থেকেই কাজ চলে আসছে কিন্তু মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে পুনরায় সেটি আবার ঠিক করা হতো কিন্তু গত ৩ মাস যাবত এটি ত্রুটি দেখা দিলেও কেউ কোনো কর্ণপাত করেনি ফলে সদর হাসপাতালের সামনের যেই ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো রয়েছে সেগুলো বিষয়টির লুফে নিয়েছে অর্থাৎ সাধারণ অসহায় গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা মানুষগুলোর অর্থ যেন তারা সব চুষে নিয়েছে। পরবর্তীতে পরবর্তীতে টেকনোলজিস্ট জলিলের একান্ত চেষ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন পরিত্যক্ত থাকার পরে মেশিনটির যে অংশটি ভালো ছিল এবং সদর হাসপাতালে যে অংশটি খারাপ ছিল সেই অংশটি পরিবর্তন করা হয়। যে কারণে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনের পুনরায় চালু হওয়ায় মানুষের এখন ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যেই এক্সরে করতে পারে তাদের এখন বাড়তি টাকা দিয়ে এক্সরে করার প্রয়োজন হয় না অপরদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেই মেশিনটি রয়েছে সেটি সেটি পুরোদমেই অকেজো হওয়ার কারণে এখন বরিশাল সদর হাসপাতালে উপরেই এক্সরে মেশিন টি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া যেই খরচটি হয়েছে সদর হাসপাতাল বহন করলেও কিছু কিছু খরচ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোঃ আব্দুল জলিল রহমানও খরচ করেছেন বলে তিনি জানান। তার একটাই উদ্দেশ্য গ্রাম-গঞ্জ থেকে সাধারন মানুষগুলো এসে যেন সরকারি সেবাটি পরিপূর্ণভাবে পায়।