১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, ৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে গভীর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে গৃহবধূর আত্মহত্যা পিরোজপুরে সুপারি চোরাচালানের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে বরিশালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক প্রদর্শনীর দ্বিতীয় পর্যায়ের শুভ উদ্বোধন চুয়াডাঙ্গায় বিলে মাছকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ, হাসপাতালে ভর্তি,থানায় পৃথক দু’টি মামলা বরিশালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৫ ব্যবসায়ীকে ২২ হাজার জরিমানা আদায় পটুয়াখালীতে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী, ৩ সন্তানের জনক গ্রেপ্তার সাবেক হুইপ শহীদুল হক জামালের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ দর্শনায় পুলিশের হাতে ৬ কেজি গাঁজা, ইজিবাইকসহ ১ জন গ্রেফতার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার…. এমপি মেনন ঝালকাঠিতে দুই গাঁজা চাষী সহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক ৩
ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন ।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন ।

আজকের ক্রাইম ডেক্স
ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করেছে সরকার। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটকে ঘিরে দুই প্লাটুন বিজিবি ভাগ হয়ে কাজ করছেন।

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে ফেরি পার হচ্ছিল। শনিবার ফেরি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। তাই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (০৮ মে) রাত সাড়ে ৯টায় জানান জেলা প্রশাসক জানান, রাত থেকেই বিজিবি মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছে। একটি টিম ধলেশ্বরী সেতুর সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে। তারা কোনো জরুরি যানবাহন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না। বাকি সদস্যরা শিমুলিয়া ঘাট ও আশপাশে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে, দিনের বেলা ফেরি বন্ধের সরকারি ঘোষণার পর শনিবার ভোর সাড়ে ৩টা থেকে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময়ে পারাপারের অপেক্ষায় ৪৮টি ছোট যান আটকা পড়ে শিমুলিয়া ঘাটে। পণ্যবাহী বেশ কিছু ট্রাকও লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। ফেরি বন্ধের ঘোষণার পরও লাখো মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়া ঘাটে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে বাংলাবাজার থেকে ৭টি অ্যাম্বোলেন্স নিয়ে কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ।
পরে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে আটকে থাকা অ্যাম্বুলেন্সগুলো ফেরি থেকে নামিয়ে আনলেও লোকজনের স্রোত ঠেকাতে পারেনি। মুহূর্তেই ফেরি ভরে যায় হাজারো মানুষে। ফেরিটি টইটুম্বুর হবার পরও যাত্রীরা ফেরিতে উঠছিল। পরে ফেরিটি ছেড়ে মাঝ পদ্মায় নোঙ্গর করে রাখা হয়। পরবর্তীতে ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে আসলে জনতা ফেরি থেকে নামেনি। পরে ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটে এদের পার করে দেয়।

এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চাপ আরও বাড়তে থাকে। ভোর রাত থেকে ছোট ছোট শিশু, বৃদ্ধ, নারী ঘাট এলাকায় প্রচণ্ড রোদে অপেক্ষা করছিল। এ সময় কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মানবিক কারণে ২টি ফেরি দিয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে কয়েক হাজার যাত্রী পার করা হয়। এ সময় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় আর কোনো ফেরি ছাড়া হবে না। বেলা ১টার দিকে ঘাট আবার জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আস্তে আস্তে আবার জনতার চাপ বাড়তে থাকে। পরে বিকাল ৫টা থেকে রাতের পাশাপাশি দিনেও ৫টি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিসি।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাও ৫টি ফেরি দিয়ে জরুরি যানবাহন পারাপার করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019