২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীতে তরমুজের দাম কমেছে, ক্রেতা বেড়েছে। হুড়াহুড়ি করে ইফতারি আর মনের আফসোস মেটাতে তরমুজের দোকান গুলোতে ভীড় নেমেছে। আজ প্রতি কেজি তরমুজ ৩০ টাকা আর ১৫০-২০০ টাকা পিচ দরে বিক্রি হচ্ছে।
এতদিনে রাজশাহী নগরীর ক্রেতারা তরমুজ দেখেছেন, টাকা নাই তাই হয়তো ভীড়তে পারেননি তরমুজের দোকানে। আজ বিকেল ৫ টায় রাজশাহীর গোরহাঙ্গা মসজিদ থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত ফলের দোকান গুলোতে উপচেপড়া ভীড় নেমেছে। একেক জনে এক দুই অথবা তিনটা ও তরমুজ ক্রয় করছেন।
সারাদিন রোজা থেকে ক্লান্ত শরীরে তরমুজের শরবত মানেই তরতাজা শরীর। প্রফুল্ল মনে এশার পর তারাবি নামাজ আদায় করা যেন কোনো ব্যাপারই না।
রাজশাহীতে প্রচন্ড তাপমাত্রা আর কর্মব্যস্ততায় শরীরের দিকে তাকানো যায় না।
একেক টা তরমুজ ৩ থেকে ৭ কেজি ওজন। আকার অনুযায়ী দাম।
অন্যান্য ফলের দাম গুলো ক্রয়ক্ষমতার বাইরে বলে জানান সাধারণ মানুষেরা।
নিউমার্কেটের সামনে থাকা ফল দোকানদার মোঃ খাজিম আলী জানান
মালটা ১৭০ টাকা, কমলা ২৪০ টাকা, আপেল ১৮০ টাকা, বেদানা ৩৫০ টাকা, লাল আঙ্গুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আঙ্গুর ২৮০ টাকা, নাশপাতি ২৪০ টাকা, খেজুর ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, গোপালভোগ আম ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
সালাউদ্দিন নামে এক ক্রেতা জানান, রোজা শেষের দিকে, এখন দাম কমিয়ে লাভ আছে? গতকালই এসেছিলাম নাটরের ৪৫-৫০ টাকা , পটুয়াখালীর ৬০-৬৫ টাকা, বরিশালের ৫৫-৬০ টাকা কেজি তরমুজ। আজ হঠাৎ কেটেও বিক্রি হচ্ছে। বছরকার ফল খাওয়া হবে আজ, এই আরকি।
নাহিদ নামের এক ফল বিক্রেতা জানান, আসলে আমরা আড়ৎ থেকে কেজি আকারে নিয়ে আসি। তাই লাভ কম জেনেও মানুষের মুখে তরমুজ দিতে বিক্রি করতে বসি। কি আর করার বলেন,ফল ব্যবসায়ী বলে কথা। তরমুজ তো রাখতেই হয়। কলা দাম ও কম না ৪০ টাকা হালি। ডাব ১৫০-২০০ টাকা জোড়া।