২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দেশে এসেছে ভারতীয় ধরন, সংক্রমণের ভয়ংকর তথ্য অন্য দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) গবেষণা বলছে, লকডাউন কিংবা কোনো বিধিনিষেধ না থাকলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একজন রোগী ৩০ দিনে ৪০৬ জনকে সংক্রমিত করে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভারতের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের খবর শোনা না গেলেও এরইমধ্যে বাংলাদেশে এসে গেছে।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ভারতে যে করোনা বাড়ছে সেটা ভ্যারিয়েন্টের কারণে বাড়েনি। সংক্রমণ বেড়েছে মূলত ধর্মীয় ও সামাজিক বিধিনিষেধ না মানা এবং অনুষ্ঠান পালনে জনসমাগমের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, দেশে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট না আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সুদূর ব্রিটেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে যদি ভেরিয়েন্ট আসতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা বিচিত্র কিছু নয়।
ভারতের করোনা দেশে অনেক আগেই এসেছে উল্লেখ করে ভাইরোলজিস্ট ড. এম জাহিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে খারাপ ভ্যারিয়েন্টটাই আছে।
তিনি বলেন, লকডাউন এমন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এর ১০ ভাগ কার্যকর করতে পারলেও উপকার আছে। আর আমাদের জীবনযাপনের ধরনের সঙ্গেও ভারতের মিল আছে। কাছেই তাদের এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত।
তাই লকডাউন শিথিল বা কমে গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মানায় জোর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে তৈরি হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটির নাম গবেষকরা দিয়েছেন ‘বি-ওয়ান-সিক্সসেভেনটিন’। গত অক্টোবরে এটি প্রথম শনাক্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের ১৭টি দেশে ভারতের ধরনের অস্তিত্ব মিলেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
সোমবার (৩ মে) বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডবে মোট মৃত্যু ৩২ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মোট আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১৫ কোটি ৩৪ লাখ।