২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত বানারীপাড়ায় অগ্নিকান্ডে দিনমজুরের বসতঘর ভস্মিভূত: খোলা আকাশের নীচে সপরিবারে মানবেতর জীবন! ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কৌশলী বিএনপির একাংশ ভোটের মাঠে, একাধিক প্রার্থী আ.লীগের বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ নলছিটিতে গৃহবধূর হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ গাইবান্ধায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ বোরকা পরে বালিকা মাদরাসায় যুবক, ধরা পড়ে খেলেন গণপিটুনি ২৪ বছর কারাভোগ শেষে ভ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ওলিউল কাতারের সঙ্গে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যেন ঈমান ধরে রাখতে পারি….।

জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যেন ঈমান ধরে রাখতে পারি….।

আজকের ক্রাইম ডেক্স

দর্শনার মেয়ে রীতা গত রাতে আমাকে ফোন দেয়। তার অসহায়ত্ব আর দারিদ্রের কথা উপস্হাপন করে এবং কিছু সহায়তা প্রত্যাশা করে। এরই প্রেক্ষিতে আজ তার বাড়ি খাবার এবং নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।

অধিকাংশ দিনই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত, কর্মহীন, অসহায় মানুষের বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু, আজ বিষয়টা লিখতে ইচ্ছে করলো কারণ রীতা আমাকে আজ অনেক কিছু শিখিয়েছে যা শুধু পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না।

রীতার বয়স মাত্র ৩৪। কিন্তু দারিদ্র্য, শারীরিক অসুস্হতা আর মানসিক টানাপোড়নে আজ প্রৌঢ়ত্ব ছুঁয়ে গেছে তাকে। যে বয়সে স্বামী সন্তানসহ সুখে সংসার করার কথা ছিল, সে বয়সে সে তার বিধবা মায়ের কাঁধে গলগ্রহের মতো দিন যাপন করছে। ২৩ বছর বয়সে ব্রেন স্ট্রোক করে সে। স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সহায় সম্বলহীন রীতা তখন থেকে তার মায়ের আশ্রয়ে থাকতে শুরু করে। তার মা ৩ বার স্ট্রোক করেছেন। তারপরও তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড়ের ব্যবসা করে কোন রকম অন্নের সংস্হান করেন। রীতা ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না,দাঁড়াতে পারছে না, ক্লান্ত কন্ঠে সে আমাকে জানায় শত দারিদ্রের কষাঘাত, অসুস্হতাতেও সে বিচলিত হয় না। যেভাবে সে আল্লাহর ইবাদত করছে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এভাবেই যেন সে ঈমান ধরে রাখতে পারে।

আমি অবাক হয়ে শুনেছি তার কথা। কোন পার্থিব প্রতিকূলতা – ই তার ঈমাণী জ্যোতিকে নিষ্প্রভ করতে পারেনি। অথচ আমরা আল্লাহর হাজার নিয়ামতের মধ্যে থেকেও ক্ষুদ্র কোন অপ্রাপ্তির শূণ্যতায় বিচলিত হয়ে যাই প্রায়শই।

আমাদের দেখে রীতা আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়। তার একটা ফোনে তার বাড়ী সাহায্য পৌঁছে দেওয়ায় আনন্দ অশ্রু লুকানোর চেষ্টা করছিল মুহুর্মুহু। সর্বোপরি, রীতার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বড় অংকের টাকা। রীতার দাবী যদি কোন সহৃদয়বান, সুশীল সমাজ তার পাশে দাঁড়ায় তবে সে হয়তো সুস্হভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে। তাকে দেখে অন্যান্যরাও ইসলামী জীবনাচরণে উদ্বুদ্ধ হবে। আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019