১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন বানারীপাড়ায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ যুবকের আত্নহত্যা, বাড়িতে খালু শ্বশুরের ঘুষি, সালিশে মেম্বারের দেওয়া থাপ্পড় না কি স্ত্রীর ওপর অভিমান বাবুগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় ৫’শ পেঁপে গাছ কেটে দেয়ার প্রতিবাদে কৃষকজোটের মানববন্ধন ও সমাবেশ বাবুগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন গাবখান সেতুর টৌলপ্লাজায় ভয়াভয় দূর্ঘটনায় দায়ী ঘাতক ট্রাকচালক ও সহযোগী আটক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা গলায় তিল থাকা নারীদের যেসব গুণ থাকে বরিশালে হাসপাতালের প্রিজন সেলে খুনের ঘটনায় ৩ কারা পুলিশ বরখাস্ত
ভারতের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব।

ভারতের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধের প্রস্তাব।

অনলাইন ডেস্ক
জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া ভারতের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

রোববার (২৫ এপ্রিল) মহাখালীতে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ফাইজারের ১ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছে কোভ্যাক্স। এছাড়া একই সময়ে সেরামের ২০ লাখ ডোজ আসার কথা জানিয়েছে বেক্সিমকো।

খুরশীদ আলম বলেন, চীনের সিনোফারম ৫ লাখ উপহার নেয়া হবে। তবে প্রয়োগের বিষয়ে জাতীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে দেশে এর সংক্রমণ রোধে আপাতত ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা।
সময়নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য বড় ঝুঁকি হতে যাচ্ছে দুটোভাবে। একটা হলো ভারতে যে অসংখ্য সংক্রমণ হচ্ছে সেখান থেকে এ সংক্রমণটা আমাদের দেশে আসতে পারে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অনেক বেশি। লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। এটা হচ্ছে বড় ঝুঁকি।
এ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের তাই পরামর্শ, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলাদেশকে। এ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ তার। যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ভারত থেকে বাংলাদেশে কেউ আসলে ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার তাগিদ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যে নিজেদের সমস্যা আছে করোনার, তারওপর ভারত থেকে এসে সমস্যাটা যেন বেশি গভীর না করে। সে ব্যাপারে আমাদের খুব মনযোগ দেয়া উচিত। ভারত থেকে আসলে তাকে দুই ডোজ টিকার সার্টিফিকেট দেখানো উচিত।’
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি ভারতে যায় জরুরি প্রয়োজনে, সে ক্ষেত্রে তাকেও ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ তার।
প্রসঙ্গত, দেশে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। সর্বাত্মক লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধে চলছে সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
পাশের দেশ ভারতেও করোনা মহামারিতে লাগাম ছাড়িয়েছে। করোনার নতুন রূপ ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী ভাইরাসটি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, যা অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং তিনগুণ বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। এতে রোগীর মৃত্যু দ্রুত হচ্ছে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। শিশুদেরও যা ভোগাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে তার আশঙ্কা, ভারতের করোনার নতুন রূপ বাংলাদেশের জন্যও চরম ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019