২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাণিজ্য ডেক্স
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেশব্যাপী চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হবে মুভমেন্ট পাসের।
মুভমেন্ট পাস ছাড়া কেউ দোকান বা শপিংমলে যেতে পারবে কি না এ বিষয়ে এখনও নতুন করে কোনো তথ্য জানায়নি পুলিশ সদর দফতর। এছাড়া শপিংমল খোলার বিষয়ে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে মুভমেন্ট পাস ছাড়া জনসাধারণকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেছিল পুলিশ। যারাই বের হয়েছেন তারাই আইনি বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। শপিংমল খুললেও সেই নিয়মই কার্যকর থাকবে কি না এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে লকডাউনের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল (রোববার) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে অবশ্যই মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) থেকে আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সারাদেশে গত ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল ২১ এপ্রিল। তার আগেই রোববার রাতে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এরপরই সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের সভা থেকে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ রাখা হয় সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন। দোকানপাট ও শপিংমলও বন্ধ রাখা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করেই ২৫ এপ্রিল (রোববার) থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত এল।