০৫ মে ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল
স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে জ্ঞান হারালেন নববধূ।

স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে জ্ঞান হারালেন নববধূ।

আজকের ক্রাইম ডেক্স
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় মো. দাদন খলিফা (৩০) হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের গয়ঘর খলিফাকান্দি এলাকায় এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে দাদনের নববধূ নিশি আক্তার (১৮) স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

নিশি বলেন, ‘গত ৩১ মার্চ দাদনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের ১৬ দিন পর আমার স্বামীকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হত্যা করে। স্বামী হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’ এরপরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।

নিহত দাদন খলিফার বাবা সেকান্দার খলিফা বলেন, ‘ইদ্রিস খান ও তার তিন ভাই ১৯৯৭ সালে আমার বোনকে হত্যা করেন। সেই বিচার পাইনি। বিচার না হওয়ায় তারা ২৪ বছর পর আবার আমার ছেলেকে হত্যা করল। ককটেল বোমা ফাটিয়ে ইদ্রিস খান আমাদের সামনে থেকে ছেলেকে তুলে নিয়ে যান। ৩০-৩৫ ব্যক্তি মিলে কুপিয়ে ছেলেকে ফেলে রেখে গেছেন। কী দোষ করেছিলাম আমরা? দেশের অবস্থা ভালো নয় দেখে তাকে ২০১৪ সালে বিদেশ পাঠিয়েছিলাম। দুই মাস আগে ফিরে এসেছে। ২০ দিন আগে তাকে বিয়ে দিয়েছি। তবে করোনার কারণে এখনও বউ বাড়িতে তুলে আনতে পারিনি। স্বামীর ঘরে আসার আগেই মেয়েটি বিধবা হলো। এ হত্যার পরিকল্পনাকারী ও ইদ্রিসদের প্রশ্রয়দাতা এসকান্দার সরদার, বাচ্চু মাদববর, আবুল খান, শুকুর ব্যাপারী, রশিদ খলিফা, আজিত ফলিফাগং। এসকান্দার সরদারকে মামলায় আসামি করতে চাইছি, কিন্তু পুলিশ তার নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চায় না।’

মানববন্ধনে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) হেনা পারভিন, মোহাম্মদ খলিফা, শৌলপাড়া ইউনিয়নবাসী মাকসুদা বেগম, মোক্তার আখন্দ বলেন, দাদনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এসময় নিহত দাদনের মা আমেনা বেগম, চাচা রাজ্জাক খলিফা, জুলহাস ফলিফা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল হক ব্যাপারী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক নুরুল হক খলিফা, সদস্য আব্দুল মান্নান খান ভাসানী, শৌলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা খান, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন আখন্দ, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজাহান খলিফা, সমাজসেবক হোসেন মাদবরসহ শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৫০০ লোক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সদর উপজেলার গয়ঘর ফলিফাকান্দি গ্রামের ইদ্রিস খাঁর সঙ্গে দাদনের বাবা সেকেন্দার খলিফার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় গয়ঘর গ্রামের নুরুল হক খলিফার বাড়ির মসজিদে নামাজ পড়ে দাদন বের হন। এসময় সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ইদ্রিস খাঁ, এসকান্দার সরদারসহ ৩০-৩৫ জন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।

এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। দাদনকে স্থানীয়রা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা নেয়ার পথে পোস্তগোলা এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019