২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স:::‘লকডাউন’র মধ্যে মাস্কবিহীন রাস্তায় বের হওয়ায় রিকশা থেকে নামতে বলায় পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। রিকশা থেকে না নামায় শার্টের কলার ধরে যুবককে নামানোর কারণে পুলিশের সঙ্গে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এমনটিই দাবি করেছে। রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাস্কবিহীন রাস্তায় বের হওয়ায় শহরের ট্রাঙ্ক রোডে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে একটি রিকশা থামান মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদার ও পুলিশ সদস্যরা। এ সময় রিকশায় বসে থাকা মাস্কবিহীন এক যুবককে নামতে বলেন। ওই যুবক না নেমে পুলিশের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন। তখন পুলিশ মামলার কথা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে যুবক বলেন, এদেশে পুলিশের অনেক ক্ষমতা, তাই না।
তর্কবির্তকের একপর্যায়ে তার শার্টের কলার ধরে রিকশা থেকে নিচে নামায় পুলিশ। তখন শার্টের কলার ধরা পুলিশ সদস্যকে যুবক বলেন, তুই অন্য রিকাশা ছাড়ছিস; আমাকে কেন আটকাইছিস। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন যুবক। এ সময় এক পুলিশ সদস্য যুবককে পাগল বলেন। তখন ওই পুলিশকে যুবক বলেন, তুই আমাকে পাগল বললি কেন? আমি পাগল, না? তুই পাগলের সামনে দাঁড়াইলি কেন? এ সময় পুলিশের সঙ্গে যুবকের হাতাহাতি লেগে যায়। একপর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্য যুবককে জাপটে ধরেন এবং হাতকড়া পরানোর চেষ্টা করেন। হ্যান্ডকাপ পরানো অবস্থায় যুবক বলেন, মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে হ্যান্ডকাপ পরতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাকে মাটিতে ফেলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবকের নাম মো. শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী। পুলিশ জানায়, এর আগেও পুলিশকে গালিগালাজ করায় শহরের শহীদ মিনারের সামনে থেকে শহীদকে আটক হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই মাঝেমধ্যে এমন আচরণ করেন শহীদ।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মো. ওমর হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল রোববার মডেল স্কুলের সামনে থেকে শহীদকে আটক করা হয়েছিল। তার মানসিক সমস্যা আছে। তাকে আটক করে হাজতে নেওয়ার সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মোটবী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন রিয়াদ সাংবাদিকদের বলেন, আগে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন শহীদ। বর্তমানে ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। তার মানসিক সমস্যা আছে বলে আমার জানা নেই।’