০৮ মে ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোহাম্মাদ আলী, বাবুগঞ্জ ( বরিশাল) প্রতিনিধি ঃ দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকারের বেধে দেওয়া লকডাউনে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের ভিতরে উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে । একদিকে করোনা প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে জনজীবনে আতংক এবং রমজান মাসে সাধারণত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি । অপরদিকে সরকারের বেধে দেওয়া লকডাউন। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে উৎকন্ঠা বা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কেমন করে সাধারণ মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করবেন তা অনেকটাই অনিশ্চিত। গত বছরে লকডাউনে জনগণের সহায়তায় সরকার এবং সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলেও এবারের চিত্র ভিন্ন।
গতকাল সোমবার বিকালে লকডাউনের ৫ম দিনে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলো জনশূন্য দেখা গেছে। বিভিন্ন বিপনি-বিতানে ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ, শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানপাট ছাড়া ।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাবুগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান দিপু সিকদার বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকারের বেধে দেওয়া লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় বাজারে কোন ক্রেতা আসছে না। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখায় তাদের লোকসানে পরতে হচ্ছে । এভাবে চলতে থাকলে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা বানিজ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন।
বাবুগঞ্জ বন্দর বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, করোনার সংক্রমণের কারনে প্রায় এক বছর যাবত ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানোর জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছি। আবার দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছেন। এভাবে চলতে থাকলে সংসার চালানো এবং ব্যাংকের লোন পরিশোধ করা দুষ্কর হয়ে যাবে।
বাবুগঞ্জ বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সুমন জানান, লকডাউনের জন্য পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। তাছাড়া লকডাউনের জন্য আগের মত ক্রেতা আসছেনা। বেচাকেনা আগের চেয়ে অনেক কম। এভাবে চলতে থাকলে পথে বসতে হবে।
অপরদিকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ শ্রমিকের। এমনকি অনেক মানুষ চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
দরিদ্র পরিবারের সদস্যদরা জানান, গত বছর অনেকে সাহায্য সহযোগিতা করলেও এ বছর কেউ এগিয়ে আসছে না।