২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সিটি স্ক্যান শেষে বাসায় ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বাসায় ফিরেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করানোর জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করানোর জন্য রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এসময় সিটি স্ক্যান করানোর সময় খালদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন।
এর আগে বিকেলে ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানান, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) আজকে আক্রান্ত হওয়ার সপ্তম দিন। কোভিডের পরিভাষায় তিনি এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করছেন। আমি আগেও বলেছি যে, কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। কোভিডের যত সাবধানতা, যত জটিলতা সেগুলো সাধারণত সেকেন্ড উইকেই হয়। সেজন্য আমরা আরেকটু সাবধানতা অবলম্বন করতে চাই।’
তিনি জানান, ‘তার সব পরীক্ষা করা হয়েছে। শুধু সিটি স্ক্যানটা করানো হচ্ছিল না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সিটি স্ক্যানটা করিয়ে ফেলব। এছাড়া বাকি সব যেমন- বায়ো কেমিক্যাল প্যারামিটারস, ফিজিক্যাল স্ট্যাটাস, অক্সিজেন স্যাচুরেশন এবং অ্যাপেটাইট, পালস, ব্লাড সার্কুলেশন অন্যান্য সব দিকে তিনি আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালো আছেন।’
সিটি স্ক্যান কোন হাসপাতালে করানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোথায় সিটি স্ক্যান করাব তার ব্যবস্থাও আমরা করে রেখেছি। যখন করব তখন আপনারা জানতে পারবেন।’
এফএম সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘কোভিডে কখনোই আপনি আগে থেকে বলতে পারবেন না কন্ডিশন কেমন হবে। এটা দ্রুত পরিবর্তনশীল একটা রোগ। তবুও আমরা দ্রুত সিটি স্ক্যান করাব।’
তিনি আরও জানান, ‘আমরা যদি সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে মনে করি যে, বাসায় রেখে চিকিৎসা করাটা তার জন্য ভালো হবে তাহলে বাসায় রাখব। সিটি স্ক্যান দেখে যদি মনে হয় দু-তিনদিন বা কয়েক দিনের জন্য হাসপাতালে অবজারভেশনে রাখা দরকার-আমরা সেটাও করব। আমাদের ডিসিশনটা নির্ভর করবে সিটি স্ক্যানের রিপোর্টের ওপর।