১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২ অপরাহ্ন, ৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
কাবিননামা ও এর নিয়ম-কানুন।

কাবিননামা ও এর নিয়ম-কানুন।

ওয়েব ডেস্ক

কাবিননামা বলতে বিবাহ সম্পাদনের লিখিত চুক্তি বোঝায়। একে নিকাহনামা বলেও উল্লেখ করা হয়। বিবাহ সম্পাদনের জন্য বা বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য ‘কাবিননামা’ অপরিহার্য নয়। তবে কাবিননামা একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত কাজী নির্ধারিত ছকে কাবিননামা সম্পাদন করে থাকেন। স্ত্রীর প্রাপ্য দেনমোহর আদায়, স্ত্রীর ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে নিবন্ধিত কাবিননামা একটি আইনি দলিল।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে। বিবাহের দিন বা কোনো কারণে তা সম্ভব না-হলে বিবাহের ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। মুসলমানদের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত কাজী সরকার নির্ধারিত ছকে বিবাহের নিবন্ধন করবেন। যে কাগজে এই নিবন্ধন করা হয় তা-ই কাবিননামা তথা নিকাহনামা নামে পরিচিত।

কাবিননামায় যা অবশ্যই থাকবে তা হলো- বিবাহের ও নিবন্ধনের তারিখ, স্বামী ও স্ত্রীর নাম, পরিচয় ও বয়স, বিবাহের সাক্ষীদের নাম ও পরিচয়, বিবাহের দেনমোহরের পরিমাণ এবং তা আদায়ের ও বাকির পরিমাণ, কাজীর স্বাক্ষর ও সিলমোহর ইত্যাদি।
বিবাহ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বরপক্ষ নিবন্ধন ফি প্রদান করবে। বিয়ে নিবন্ধনের পর কাজী তথা নিকাহ রেজিষ্টার স্বামী ও স্ত্রীকে কাবিননামার সত্যায়িত কপি প্রদানে বাধ্য।
নিবন্ধনের সময় কাজী যাচাই করবেন-
(ক) স্বামীর বয়স কমপক্ষে ২১ এবং স্ত্রীর বয়স কমপক্ষে ১৮ হয়েছে কি-না,
(খ) বিবাহে স্বামী ও স্ত্রী’র পূর্ণ সম্মতি রয়েছে কি-না,
(গ) বিয়ের সাক্ষীগণ উপস্থিত কি-না এবং
(ঘ) দেনমোহরের পরিমাণ যথাযোগ্য কি-না এবং তার কত অংশ আদায় করা হয়েছে। এ সব বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কাজী নিবন্ধনে অগ্রসর হবেন।
মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ নিবন্ধন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিবাহ নিবন্ধন না করলে বিচারক্রমে ২ বৎসর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড প্রযোজ্য হতে পারে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019