০৬ মে ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি-
ঝালকাঠি
৯ নংশেখেরহাট ইউনিয়নে বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান,নুরুল আমিন সুরুজের,অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া নৌকার প্রতি আস্থা হারাতে বসেছেন।সাধারণ মানুষ,গত২৮মার্চ আনারস মার্কার সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে । নুরুল আমিন সুরুজের, নেতৃত্বে দোকান ভাঙচুর সহ। বাড়িঘর লুটপাট নারীদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯নংশেখেরহাট ইউনিয়নের আনারস মার্কার প্রাথী
শেখ নুরুল হাদী,জানিয়েছেন ঝালকাঠি উপজেলা দিন ৯ নং শেখেরহাট ইউনিয়ন আনারস মার্কার প্রার্থী। আমি এখানে চেয়ারম্যান হিসাবে দাঁড়াবার পক্ষপাতী ছিলাম না তারপরেও আমাকে এলাকাবাসী যখন অনুরোধ করে এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আহবান ছিল যারা প্রার্থী হতে ইচ্ছুক তারা ঢাকায় এসে ফরম ফিলাপ এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। তাই আমি সাড়া দিয়ে ঢাকায় গিয়ে ফরম পূরণ করি কিন্তু আমাকে নৌকার প্রতীক দেওয়া হয়নি যদিও আমি সারা জীবন আওয়ামী লীগ করে এসেছিলাম নৌকার প্রতীক না দিলেও জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে বলেছিলেন এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সমুহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হবে এবং আমাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের বলেন এবার বিদ্রোহী প্রার্থী বলতে কিছুই নেই তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবে। এলাকার ময়মুরুব্বি সহ সমর্থকদর।আমাকে নির্বাচন করার জন্য সমর্থন দিয়েছেন সেজন্য আমি নির্বাচনের প্রার্থিতা হিসাবে অংশগ্রহণ করতে ছিলাম হঠাৎ করে নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরুল আমিন (সুরুজ) এর নির্দেশে তাহার সন্ত্রাস বাহিনী আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে ও আমার বিভিন্ন কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও একযোগে একুশটি ঘরবাড়ি, আগুন দিয়েছে। এমত অবস্থায় এলাকাবাসী ইউনিয়ন বাসীসহ ভোটারদের ভিতর আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এ কোন ধরনের নির্বাচন একটি নির্বাচনী আমেজ ও পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল আমার পাশ করতে হবে এমন কোন কথা নয় আমি প্রার্থিতা হয়েছি জনগণের চাপে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে এই নৈরাজ্য চালিয়ে নির্বাচনের পাস করে কি সার্থকতা আছে কেন এই নৈরাজ্য চালিয়ে তাকে চেয়ারমান হইতে হবে সে একাধারে নুরুল আমিন সুরুজ, ১৮ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে ছিল উন্নয়নমূলক কাজ করেনি যা আপনারা নিজ চোখে দেখেছেন গ্রামের রাস্তাঘাট ও কালভার্টের অবস্থা দেখলে মানুষ তাকে ঘৃণা করেন সেই ঘৃণার ফলশ্রুতি হিসেবে ইউনিয়নের সাধারন জনগণ আমাকে বেছে নিয়েছিল, কিন্তু তাদের এই তাণ্ডবে আমাদের ইউনিয়নের সাধারণ লোকজন এলাকা ছেড়ে যদি চলে যেতে হয় আমার মনে হয় ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বলতে কিছুই থাকছে না এরকমের প্রহসনের নির্বাচনে মানুষ চায় না এই প্রহসনের নির্বাচন থেকে মানুষ মুক্তি চায়।ইউনিয়ন বাসী জানিয়েছেন,গত ২৮ শে মার্চ নুরুল আমিন সু রুজ,এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়িতে আগুন সহ বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট চালিয়েছে থানায় অভিযোগ দিতেও পারেনি আমরা এখন বন্দি অবস্থায় আছি।আমাদের গার্ডিয়ান, আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু ভাই যদি আমাদের দিকে খেয়াল না দেয় তাহলে আমরা কোথায় যাব।এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সুরুজ,এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে,তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।