২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১২ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোহাম্মাদ আলী, বাবুগঞ্জ ( বরিশাল) প্রতিনিধি।।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় লকডাউনে বিধি নিষেধ মানছেনা কেউ। উপজেলার প্রত্যেকটি হাট-বাজারে মানুষের উপচো পড়া ভীড় দেখা গেছে। সামাজিক দূরত্বতো দূরের কথা মাক্স পড়ছেনা বেশিরভাগ মানুষ। এখনই লাগাম টেনে না ধরতে পারলে বরিশাল জেলা শহরের প্রবেশদার এ-ই বাবুগঞ্জ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল।
সকাল থেকে উপজেলার প্রত্যেকটি হাট-বাজারের দোকান-পাঠ খোলা ছিল। হাট-বাজারে আসা জনসাধারন মাক্স না পড়ে হাট-বাজারে চলাফেরা করে। এমনকি হোটেল-রেস্তোরায় পাশাপাশি বসে সকালের নাস্তা করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও ঔষধের দোকানে জরুরী ঔষধ কিনতে আসা অনেকে মাক্স না পড়ে ঔষধ কিনতে দেখা গেছে। পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের শ্রমিকরা মাক্স না পড়ে পন্য পরিবহন করছে।
সোমবার দেশব্যাপি লকডাউনের প্রথমদিনে বাবুগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি হাট-বাজারে সকাল থেকে এই দৃশ্য দেখা যায়। মাক্স না পড়ে বাজারে আসার কারন জানতে চাইলে অনেকে কথা বলতে রাজি হননি, অনেকে ভূল হয়েছে বলে জানান।
উপজেলা প্রশাসন শুরু থেকেই মানুষের মাঝে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে নানান রকম প্রচার প্রচারণা, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, মাস্ক বিতরণ করছেন। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং মাস্ক পরিধান না করায় বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করতে হয়েছে উপজেলা প্রশাসনকে।
সোমবার সকাল ১০ টায় রহমতপুর বাজারে আসা মামুন মিয়া জানান, বাজারে আসার আগে শুনেছি লকডাউন চলছে, এসে দেখি মানুষের জটলা। ছোট যানবাহন এবং দোকানপাট সবই খোলা। করোনার আগে বাজারের যে স্বাভাবিক অবস্থা ছিল আজ তেমনই দেখলাম। রমজান উপলক্ষে বাজার করতে আসা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের কোনও ভূমিকা দেখিনি। তাই মানুষের উপস্থিতি বেশি। করোনা নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের ভূমিকা আরও বাড়াতে হবে।
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুবাস সরকার জানান, জনসমাগম বাড়লে করোনা ঝুঁকি বাড়বে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা না গেলে ঝুঁকি থেকে যাবে। যে কোনও ভাবেই হোক এটি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে দোকানপাট খোলা ও লোকজন সমাগমের খবর পেয়ে দোকান খোলা রাখার অপরাধে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারায় দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ জরিমানা আদায় করা হয়। উপজেলার মিরগঞ্জ, বাবুগঞ্জ, ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে রহমতপুর ব্রিজ বাজার এলাকায় এ মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা করেন বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ।