২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
মো:কামরুজ্জামান দর্শনা থানা প্রতিনিধি।
আজ রবিবার সকাল আনমানিক ৮.০০ টার সময় দামুড়হুদার ডুগডুগি হতে দর্শনা অভিমুগী গমনরত মো: আসানুল ইসলামের করিমন, চুয়াডাঙ্গা অভিমুখী গমনকৃত “তুন্নী মাহি এন্টারপ্রাইজ ” যার নং -ঝিনাইদহ-ট ১১-১৮৭৬ সংবলিত ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে লোকনাথ পুরের ফায়ার স্টেশনের নিকটবর্তী যাত্রী ছাউনির কাছে করিমন চালক মো: আসানুল ইসলাম(৩৫) সহ করিমনে অবস্থানরত তার নিজ পুত্র মো:আজম আলী(১০) মৃত্যু বরণ করেন। করিমনে থাকা আরেকজন মো: জীবন হোসেন (১০) লাফিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। ট্রাকে থাকা দুইজন ব্যক্তির সবাই আহত অবস্থায় প্রাণে রক্ষা পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রতিদিনের মত মো: আসানুল ইসলাম(৩৫) পিতা -মৃত আমীর হোসেন,ডুগডুগি গরু হাট পাড়া নিবাসী জনৈক ব্যক্তির কাজ করার উদ্দেশ্যে তার নিজ করিমনে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদ হতে সিমেন্ট ভর্তি করে দর্শনা অভিমুখে যাওয়ার প্রাক কালীন সময়ে লোকনাথ পুরের অদূরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নিকটবর্তী যাত্রী ছাউনির কাছে নিজ করিমনের একসেল হঠাৎ অকেজো হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ইতিমধ্যে “তুন্নী মাহি এন্টারপ্রাইজ “নামে একটি ট্রাক চুয়াডাঙ্গা অভিমুখী যাত্রাকালীন করিমনটি সামনে এসে পড়লে করিমনে থাকা তিন জনের দুইজন সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করেন এবং তৃতীয় ব্যক্তি লাফিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
তুন্নী মাহি এন্টারপ্রাইজ নামে ট্রাকের ড্রাইভার করিমন এবং লোকজনকে বাঁচানোর লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালান। নিজেদের জীবন বাজি রেখে এক পাশে গাড়িটি অপসারণ করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। গাড়িটি যাত্রী ছাউনির সাথে ধাক্কা লেগে ট্রাকে থাকা দুইজন ব্যক্তিই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
করিমন চালক মো: আসানুল ইসলাম (৩৫) এবং তার নিজ পুত্র মো: আজম আলী(১০) এদের মৃত্যুতে ডুগডুগিতে শোকের ছায়া নেমে আসে । মৃত্যু ব্যক্তিদ্বয়কে এক ঝলক দেখতে হাজারো জনতার ভীড় জমায়েত হয়।
মো:আসানুল ইসলাম (৩৫) জীবিত কালীন সময়ে খুব দরিদ্র সীমায় বসবাস করছিলেন। তার এক পুত্র এবং এক কন্যা। পুত্র মো:আজম আলী (১০) বড় এবং কন্যা ছোট। মৃত্যুকালীন সময়ে স্ত্রী ও কন্যাকে রেখে যান।