৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
আবারো বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। করোনা মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে ২২টি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। এসব সুপারিশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে উপস্থিতি কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) মো. মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সুপারিশে সব সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে কর্মীদের উপস্থিতি আগের মতো ২৫ থেকে ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণসহ জরুরি প্রয়োজনীয় মন্ত্রণালয় এবং বিভাগকে এ পদক্ষেপের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া সব সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ বা সীমিত করা, কভিড-১৯ পরীক্ষার হার বাড়ানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদ পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোর নির্দেশনার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশে করোনার সংক্রমণের মারাত্মক ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব জেলা প্রশাসককে মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জনদেরও হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়াও কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর বাইরেও যেসব সুপারিশ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করতে বলা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আগের মতো বন্ধ করা, বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে জনসমাগম কমিয়ে আনা, সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা, গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, শপিং মলসহ সব ধরনের দোকানপাট সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বন্ধ করা ও গার্মেন্ট কর্মীদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) মো. মুহিবুর রহমান বলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের। এরপর এটা নিয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সভা করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আলোচনা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সব তথ্য সংগ্রহ করছে। তারা জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
আমরা সর্বোচ্চ আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা চাইতে পারি। গত সোমবার সাত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করে পরামর্শ দিয়েছি।