২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌর শহরের ছাত্রাবাস থেকে মইনুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
রোববার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নন্দীগ্রাম পৌর শহরের রহমান-নগর এলাকায় ‘মিলি’ ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিদহর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো রাতে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি না ওঠার কারণে ছাত্রাবাসের মালিক তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া পাননি। এ সময় দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখেন ঘরের মেঝেতে ওপর হয়ে পড়ে রয়েছেন মইনুল ইসলাম। এ সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। তার বিছানা থেকে একটি চিরকুট পেয়েছে পুলিশ।
সেই চিরকুটে লেখা আছে, ‘প্রিয় বাবা-মা, আমি তোমাদের ছেলে মইনুল। তোমাদের ছেড়ে চলে গেলাম। এরজন্য কেউ দায়ী নয়। আমি আরও বলিতেছি, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা পাব, সে টাকা যেন বড় ভাই আরিফুলকে দিয়ে দেয় এবং ছানোয়ারের কাছ থেকে যে টাকা পাব, সেটা যেন না নেয়। তাদের দুজনকে দিয়ে দেয়। আমি তাদেরকে দিয়ে গেলাম আদিবাকে এক লাখ এবং সুমাইয়াকে এক লাখ। আমি আবারও বলতেছি আমার গলায় ক্যানসার হয়েছে। আমি কষ্ট করে মরার চেয়ে জীবন দিয়ে গেলাম। এর জন্য কেউ দায়ী নয়, তোমাদের ছোট ছেলে মইনুল।’
ঘটনা নিশ্চিত করে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়রা খবর দেয়ার পর মঈনুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একটি চিরকুট পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষদ্রব্য জাতীয় কিছু খেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।’