০৭ মে ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিয়ের দাবিতে অনশন নাটক, ৫ লাখ টাকায় রফাদফা বরিশালের সাবেক মেয়র কামালের স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা বরিশালে সর্বজনীন পেনশন মেলা চুয়াডাঙ্গায় আদালতে মায়ের জবানে নিজ শিশু সন্তানকে হত্যার দোষ স্বীকার ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পে “ দর্শনার মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় অভিভাবক সম্মেলন,নাজেরা ও হিফ্জুল কুরআান বিভাগের ক্লাস উদ্বোধন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখীর আশঙ্কা বরগুনায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান
কাশিমপুর কারাগারে নারীর সঙ্গে সময় কাটালেন হলমার্কের জিএম। আজকের ক্রাইম-নিউজ

কাশিমপুর কারাগারে নারীর সঙ্গে সময় কাটালেন হলমার্কের জিএম। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স:: গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদ বিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এতে কারাগারেরই দুই কর্মকর্তা সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৬ জানুয়ারি কারাগারের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশনের (সিসিটিভি) ক্যামেরায় এ চিত্র ধরা পড়েছে।
ওই ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসন ১২ জানুয়ারি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। আর ২১ জানুয়ারি তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটির প্রধান।

৬ জানুয়ারির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কারাগারের ভেতরে কর্মকর্তাদের অফিস এলাকায় কালো রঙের জামা পরে ঘোরাফেরা করছেন তুষার আহমেদ। কিছু সময় পর বাইরে থেকে বেগুনি রঙের জামা পরা এক নারী সেখানে আসেন। এ সময় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন সেখানে ছিলেন। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে দুই যুবকের সঙ্গে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষের দিকে যান। সেখানে ওই নারীকে সাকলায়েন স্বাগত জানান।

ফুটেজে আরও দেখা যায়, ওই নারী কক্ষে ঢোকার পর সাকলায়েন বেরিয়ে যান। আনুমানিক ১০ মিনিট পর তুষারকে সেখানে নিয়ে যান সাকলায়েন। এর প্রায় ১০ মিনিট পর রত্না তাঁর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। দুই মিনিট পর রত্নার কক্ষের দিকে যান তুষার। এরও দুই মিনিট পর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই নারীকে নিয়ে আবার রত্নার কক্ষে যান তুষার। যাওয়ার সময় তাঁদের হাসি-তামাশা করতে দেখা যায়। এর দুই মিনিট পর তুষার ও ওই নারী সাকলায়েনের কক্ষে ফেরেন। সেখান থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর তাঁরা বের হন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও সাকলায়েন ও রত্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ওই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবুল কালামকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী।

এডিএম আবুল কালাম আজ শুক্রবার বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন জমা দেবেন।

কারা কর্তৃপক্ষের গঠন করা কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে। অন্য দুই সদস্য হলেন উপসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি প্রিজন (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবির।

আবরার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন- প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদেরও সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। দোষী সবাই শাস্তি পাবেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019