১৮ মে ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় হাতপাখা বিক্রেতার মৃত্যু মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি!
শারীরিক সম্পর্কের লোভ দেখিয়ে’ বাসায় এনে দেবরকে খুন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

শারীরিক সম্পর্কের লোভ দেখিয়ে’ বাসায় এনে দেবরকে খুন। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রেমের পর অন্তরঙ্গ ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে মাধব দেবনাথ নামে এক যুবককে খুন করেন তার মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী বীথি দেবনাথ। শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে বাসায় ডেকে এনে তাকে খুন করা হয়। এদিকে খুন করে স্বাভাবিক জীবনযাপনও করেন তিনি।

রোববার(০৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আসামি বীথি দেবনাথ চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বীথিকে কারাগারে পাঠান আদালত।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গত শুক্রবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার টেরিবাজার আফিমের গলির একটি বাসা থেকে মাধবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃতদেহ উদ্ধারের পর আমরা ওই পরিবারের ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিলাম। এর মধ্যে বীথি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে খুনের দায় স্বীকার করেছে।

২০১৮ সালে পিন্টু ও বীথির বিয়ে হয়। বাসায় আসা-যাওয়ার সুবাদে মাধবের সঙ্গে বীথির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। গত জুনে ১০ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে মাধব ও পিন্টুর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। এর ফলে মাধবের ওই বাসায় আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তখন বীথির সঙ্গে মাধবের ইমোতে যোগাযোগ হয়। ইমোর মাধ্যমে মাধব বীথির কাছ থেকে তার বিশেষ মুহূর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলোকে পুঁজি করে বারবার শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিতে থাকে।
ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে বীথিকে হুমকি দেয় মাধব। এক পর্যায়ে মাধব ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে সেখান থেকে পিন্টুর ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও ও ছবি পাঠায়। এতে মানসিক চাপে পড়ে যান বীথি। এরপর ২ ডিসেম্বর রাতে টেরিবাজারে আগুন লাগার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে দরজা খোলা পেয়ে মাধব বীথির কক্ষে যান। সেখানে বীথি তাকে দেখে বিশেষ কায়দায় শারীরিক সম্পর্ক করার কথা বলে মাধবের হাত-পা বেঁধে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে খুন করে মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019