৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
সিলেটে রাতে বৃষ্টি, দিনে অসহ্য গরম নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কোন প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান কিংবা পক্ষপাতিত্ব করলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা- চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব ঝালকাঠিতে যানবাহন থেকে ক্ষতিকর এলইডি লাইট অপসারণের অভিযান চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ বানারীপাড়ায় বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ৫ নেতা-কর্মী খালাস নলছিটির মাদক সম্রাট খলিল পুলিশের হাতে আটক রাজাপুরে বাস চাপায় মোটর সাইকেল আরোহী নিহত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর মনোহরপুরে মেলার নামে চলছে জুয়া,মোটা অংকের টাকার মিনিময়ে অবৈধ সব বৈধ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী সেঃ রেকর্ড, বানারীপাড়ায় ইতালি প্রবাসীর পক্ষ থেকে তীব্র তাপদাহে পানি ও স্যালাইন বিতরণ পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ঝুঁকিপূর্ণ! সংরক্ষণের জন্য এর জরিপ করা প্রয়োজন-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
২৪ লাখ টাকায় চাকরি, জয়েন করতে গিয়ে জানলেন নিয়োগপত্র ভুয়া। আজকের ক্রাইম-নিউজ

২৪ লাখ টাকায় চাকরি, জয়েন করতে গিয়ে জানলেন নিয়োগপত্র ভুয়া। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক :: শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে এক নারী ও তার ভাইয়ের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ ঘটনায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার নুপুর ৭ জুন হালিমা খাতুন ও তার বাবা মো. আলী আহম্মদ আকনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরি দেয়ার নামে গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামের শাহ আলম ব্যাপারীর মেয়ে খাদিজা আক্তার নুপুর ও তার ছোট ভাই নাজমুল ব্যাপারীর কাছ থেকে কয়েক দফায় ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন। তিনি গোসাইরহাট উপজেলার তারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

এরপর ওই ভাই-বোনকে শরীয়তপুরে অফিস সহায়ক (রাজস্ব প্রশাসন) পদে চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র দেয়া হয়। নিয়োগপত্রে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর রয়েছে। গত ১ এপ্রিল তাদের কর্মস্থলে যোগদানের কথা উল্লেখ করা হয় নিয়োগপত্রে। ওই দিন অফিস সহায়ক পদে কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্র ভুয়া।

খাদিজা আক্তার নুপুরের স্বামী মাহবুব আলম বলেন, আমার স্ত্রী নুপুর ও শ্যালক নাজমুলের চাকরির ব্যাপারে হালিমা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন হালিমা গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। হালিমা বলেন, আমার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। কয়েকজনকে চাকরি দিতে পারব এবং চাকরি দিতে টাকা লাগবে। চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেব। তার কথা বিশ্বাস করে স্ত্রী ও শ্যালকের চাকরির জন্য ঋণ করে কয়েক দফায় হালিমাকে ২৪ লাখ টাকা দেই। টাকা দেয়ার সময় হালিমার বাবা আলী আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব আলম বলেন, আমার স্ত্রী ও শ্যালককে একটি করে নিয়োগপত্র দেন হালিমা। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে স্ত্রী ও শ্যালক যোগদান করতে গেলে বলা হয় নিয়োগপত্র ভুয়া। এরপর ২৪ লাখ টাকা হালিমার কাছে ফেরত চাইলে টালবাহানা শুরু করেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও তার স্বজনদের জানালেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। তাই আমার স্ত্রী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। চাকরির দরকার নেই, আমরা টাকা ফেরত চাই।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হালিমা খাতুন বলেন, ২৪ লাখ নয়; খাদিজা আক্তার নুপুরের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়েছি। চার লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকা প্রতি মাসে কিস্তিতে ফেরত দেব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী আবু তাহের বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019