০৬ মে ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ দর্শনার রেলবাজারের আলোচিত গাজা ব্যবসায়ী তহমিনা গ্রেফতার ঝালকাঠিতে পারিবারিক দ্বন্দ্বে সুজনকে পিটিয়ে হত্যা, বাবা ও ভাই গ্রেপ্তার ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
বানারীপাড়ায় সিএনজি চালক-কনস্টেবল হাতাহাতি চালককে আটক করে থানায় নির্যাতন সড়ক অবরোধ অতঃপর এস আই সহ দুই পুলিশ ক্লোজড

বানারীপাড়ায় সিএনজি চালক-কনস্টেবল হাতাহাতি চালককে আটক করে থানায় নির্যাতন সড়ক অবরোধ অতঃপর এস আই সহ দুই পুলিশ ক্লোজড

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় সিএনজির
ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবলের মোটরসাইকেল পড়ে যাওয়ায় সিএনজি চালক জামাল হোসেন
খান ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলামের মধ্যে হাতাহাতি, সিএনজি চালককে আটক করে
পুলিশের নির্যাতন ও এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধের ঘটনায় এসআই ও কনস্টেবল
ক্লোজড হয়েছে। এরা হলেন বানারীপাড়া থানান উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ হোসেন
ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম। রোববার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের নির্দেশে বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.
আনোয়ার সাঈদ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে রাত ১১টায় তাদের বরিশাল পুলিশলাইনে
সংযুক্ত করার এ নির্দেশ দেন। বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল এ
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,সোমবার সকালে এসআই রিয়াজ হোসেন ও
কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম থানা থেকে সিসি নিয়ে বরিশাল পুলিশলাইনে সংযুক্ত
হয়েছেন।জানা গেছে,রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের
হাজারীবাড়ি সংলগ্ন সড়কের পাশে থানা পুলিশের কনস্টেবল মো. শফিকুল ইসলাম
তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলটি রেখে কথা বলছিলেন। এসময় সেখানে পৌর
শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মো. জামাল হোসেন খানের সিএনজির সঙ্গে ওই
মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লেগে পড়ে যায়। এ নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম
ও সিএনজির চালক মো. জামাল হোসেন খানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির
ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে এসআই রিয়াজ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে জামাল হোসেনকে
আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় এস আই রিয়াজ হোসেনের নেতৃত্বে জামাল
হোসেনকে থানার মূলগেটে ও ওয়ারলেস অপারেটরের রুমে নিয়ে বেদম মারধর করা হয়।
পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কালাম তাকে রক্ষা করতে গিয়ে এসময় লাঞ্চিত
হন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বানারীপাড়া পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি ও জেলা
মাহিন্দ্রা-আলফা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. কালাম মোবাইল ফোনে বরিশাল জেলা
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এ ব্যপারে অভিযোগ করেন। এদিকে এ
ঘটনায় বিচারের দাবিতে বরিশাল জেলা মাহিন্দ্রা-আলফা মালিক সমিতির পক্ষ
থেকে ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় বানারীপাড়া-বরিশাল সড়কে অনির্দিষ্টকালের
জন্য মাহিন্দ্রা-আলফা চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিচার না পেলে তাদের পক্ষ
থেকে পরের দিন সোমবার সকালে বৃহত্তর বরিশালের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধের
আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় অভিযুক্ত পুলিশের বিচার দাবি করে
মাহেন্দ্র-আলফা ও সিএনজি চালকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। সড়ক অবরোধের ফলে
এসময় যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েন। এদিকে সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে জেলা
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওই দিন সন্ধ্যায় বাকেরগঞ্জ
সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার সাঈদ বানারীপাড়ায় সরেজমিন
পরিদর্শনে আসেন। তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে বানারীপাড়া-বরিশাল সড়কের
শিমুলতলায় গিয়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেন।
এসময় বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল,ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর
আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার মো. আনোয়ার সাঈদ বানারীপাড়া থানায় বসে আহত সিএনজি চালক মো. জামাল
হোসেন ও পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. কালামসহ অভিযুক্ত দুই পুলিশ এবং
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি জেনে এসআই রিয়াজ হোসেন ও
কনস্টেবল শফিকুল ইসলামকে পুলিশলাইনে সংযুক্ত করার ঘোষণা দেন। এছাড়া আটক
হওয়া জামাল হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার এ ঘোষণায় সন্তুষ্ট হয়ে বরিশাল
জেলা মাহিন্দ্রা-আলফা মালিক সমিতির ঘোষিত আন্দোলন প্রত্যাহার করে সড়কে
মাহিন্দ্রা-আলফা চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এ বিষয়ে বরিশাল মাহিন্দ্রা-আলফা
মালিক সমিতির সভাপতি মো. দুলাল হোসেন তালুকদার জানান, বানারীপাড়ায় দুই
পুলিশ একটি তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মাহিন্দ্রা-আলফা মালিক সমিতির স্থানীয়
প্রতিনিধি মো. জামাল হোসেনকে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে
তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ
আমাদের কোনো রকম ত্রুটি পেলেই সড়কে মারধর করবে এ বিষয়টি অত্যন্ত
দুঃখজনক। এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান,
মাহিন্দ্রা-আলফা শ্রমিক নেতা জামাল হোসেনের সঙ্গে দুই পুলিশের ঘটনাটি
অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। ###

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019