২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৩ অপরাহ্ন, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোঃ মিনারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি::-
পনের লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার পর গুমের অভি যোগ ওঠে স্বামী ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপনের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগে রিপনসহ তার পরিবারের সদস্যরা মামলার ঘানি টানছেন। অথচ সেই স্ত্রী বিবি মরিয়ম জান্নাত ১৯ চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায় অন্য এক যুবকের সঙ্গে দিব্যি ঘর সংসার করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ২০১৫ সালে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে বিবি মরিয়ম জান্নাতের সঙ্গে ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপনের বিয়ে হয়। জানা গেছে ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার জয়নগর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির মোশাররফ হোসেনের বড় মেয়ে মরিয়ম। আর পার্শ্ববর্তী ফুলগাজী উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের হাজী আবদুস সোবহানের ছেলে রিপন। এদিকে সম্প্রতি ফেসবুকে চাঁদপুরের কচুয়ার ব্যবসায়ী মোঃ আবিরের সঙ্গে পরিচয় হয় জান্নাতের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। গেল ৮ অক্টোবর গোপনে ১৬ লাখ টাকা ও ২১ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যান জান্নাত। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও জান্নাতকে না পেয়ে রিপনের পরিবার বিষয়টি এসপিকে অবহিত করে। পরে এসপি কার্যালয়ের এএসআই মোঃ আবদুল মতিন উভয় পরিবারকে ২১ অক্টোবর সকাল ১০টায় হাজির থাকার নির্দেশ দেন তবে জান্নাতের পরিবার সেদিন হাজির না হয়ে ১৭ অক্টোবর তাকে হত্যা করে মরদেহ গুমের অভিযোগ এনে ফুলগাজী থানায় মামলা করে। এতে ইসমাইল হোসেন মজুমদার রিপন তার বাবা হাজী আবদুস সোবহান মজুমদার মা সামছুন নাহার ও নিকটাত্মীয় মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার সোহাগকে আসামি করা হয়। পরে মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। পুলিশ জানায় মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জান্নাতের সন্ধান জানা যায়। পরে বৃহস্পতিবার ফুলগাজী থানার এসআই অনাবিক চাকমার নেতৃত্বে চাঁদপুরের কচুয়া থেকে জান্নাতকে উ দ্ধার করা হয়।
ফুলগাজী থানার ওসি মোঃ কুতুব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন জান্নাতকে মামলার ২৯ দিন পর চাঁদপুরের কচুয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।