২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম: আমার কাছে ইচ্ছাকৃত অপরাধ

রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম: আমার কাছে ইচ্ছাকৃত অপরাধ

নিউজ ডেস্ক::মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে রাজাকারের বরিশাল জেলার তালিকায় ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া তার বাবা অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার চক্রবর্তীর স্ত্রী ভাতাপ্রাপ্ত উষারানী চক্রবর্তীর নামও এ তালিকার ৪৫ নম্বরে রয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ডা. নুজহাত চৌধুরী তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। ডা. নুজহাত চৌধুরী একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে। তার মা শিক্ষাবিদ ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। নুজহাত চৌধুরী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
পাঠকদের সুবিধার জন্য ডা. নুজহাত চৌধুরীর স্ট্যাটসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো- “আমাদের যে কোন অর্জন বা উদ্যোগকে কারা সবসময় বিতর্কিত করে দেয়? এদের চেহারা উন্মোচন করা এখন বেশী দরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়েই হোক আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই হোক – যেই যেই অফিসারের হাত দিয়ে নামগুলো এসেছে তাদের কার কার লিস্টে কোন কোন ভুল হয়েছে – তা নিরূপণ করে – দেশের ইতিহাসের বিষয়ে কাজ করার সময় অবহেলার দায়ে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করার সময় আর কেউ এতোটা অবহেলা করে কাজ করতে না পারে। তবে, এটা অজ্ঞতা, অবহেলা নাকি ইচ্ছা করে রাজাকারদের নামের তালিকাকে বিতর্কিত করার প্রয়াস – সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে খুঁজে দেখা দরকার। আমার কাছে এটা ইচ্ছাকৃত অপরাধ মনে হচ্ছে। এই অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি করুন মন্ত্রনালয়ের বাইরের লোক নিয়ে। আর যেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এসেছে রাজাকারের তালিকায় তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অফিসিয়ালি। অনেক শহীদ পরিবার বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার প্রায়ই অনুযোগ করেন যে, তাদের সাথে মন্ত্রণালয়ের নিম্নপদের অফিসাররা খারাপ ব্যবহার করেন। এই দুঃখজনক ঘটনার তদন্তের মধ্য দিয়ে সরকারের এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পদে ঘাপটি মেরে থাকা এই কুলাঙ্গারদের চেহারা উন্মোচিত হোক। ইতিহাস সংরক্ষণ করার দায়িত্ব সরকারেরই। এবং সেটা করতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।

এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করে জানিয়ে দিন সকলকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হয়। অন্যথা হলে পরিণতি কি হয় তাও বুঝিয়ে দিন। ইতিহাস বিকৃতি মেনে নেবো না। কারো হাত দিয়েই না।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019