১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিশুর অন্তরে ঘুমিয়ে আছে গোটা জাতি। আগামী দিনে দেশ-জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে জাতি তাকিয়ে আছে দেশের কোমলমতি শিশুর অন্তরে। আজকের নবীন প্রজন্ম আগামী দিনের সোনালি ভবিষ্যৎ। জাতির আগামী দিনের স্থপতি।আর এই শিশু কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে ধূমপানের সাথে।বরিশালের নামিদামি স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রাস্তায় বেড়ে ওঠা শিশুটিও ঝুঁকছে ধূমপানের দিকে। আস্তে আস্তে তারাই জড়িয়ে পড়ছে নেশার জগতে। নতুন ক্রেতা পেতে সুপরিকল্পিতভাবে জাল পাতছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আর মাদকের সেই জালে সবার আগে আটকে যাচ্ছে শিশু কিশোররাই।বরিশাল নগরীর নামি দামি স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরাই এই পথে বেশি হাটছেন।এম এ মেজর জলিল সড়ক এলাকায় একটি চায়ের দোকানে ৫/৬ জন এনির্ফম পড়া শিক্ষার্থী তারা সকলেই ধুমপায়ী, এক হাতে সিগারেট অন্য হাতে চায়ের কাপ , আমি নিজের পরিচয় গোপন রেখে কথা বললাম ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া আবিরের সাথে, জানতে চাইলাম তার কাছে, এই সব খেয়ে কি লাভ? তোমরা তো এখনো অনেক ছোট! আবিরকে করা প্রশ্নের উত্তর দিলো পাশ থেকে ফয়সাল, ভাই স্মার্ট হতে হলে এগুলো খেতে হয়, বলতে পারেন এটা স্টাইল বা ফ্যাশন। কথাটা শুনে আমি একটু আতকে গেলাম।কিছুক্ষণ পরে কথা হল অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া নিলয়ের সাথে তিনি বললেন ধূমপান খারাপ কিছু না। আমার বাবা,মামা ধূমপান করে, খারাপ হলে তো তারা ধূমপান করত না। অষ্টম শ্রেণীর সাফি জানালেন এগুলো আবার নেশা কিসের। আমরা তো নেশা করি না। তাছাড়া জীবনে সব অভিজ্ঞতা রাখার দরকার আছে। একই ক্লাসে পড়া সজীব একটু ভিন্ন সুরে বললেন -বন্ধু বান্ধব দের সাথে আড্ডায় এলে খাই। এছাড়া আমি খাইনা। বন্ধু বান্ধব খায়, তাই আমিও চেষ্টা করি। বন্ধুবান্ধব ছাড়া তো আর চলা যায় না।এইতো গেল শিক্ষার্থীদের কথা।এবার কথা হলো একজন অটো চালকের সাথে ১৩ কি ১৪ বছরের অনিকের সাথে। লিকলিকে শরীরের অনিক বলেন, ভাই সিগারেট খেলে শান্তি লাগে। আমার লগের সবাই সিগারেট খায়। তাই আমিও খাই, আমার ভালো লাগে।দোকানদাররা ও চাওয়ামাত্র শিক্ষার্থীদের কাছে সিগারেট বিক্রি করছে। জানতে চাইলাম সিগারেট বিক্রেতা কাছে, আপনি কেন এই ১১/১২ বছরের ছেলেদের কাছে সিগারেট বিক্রি করছেন? তিনি বলে মামা সবাই করে, তাই আমিও করছি।স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নির্ভয় করছেন ধূমপান।কয়েকজন অভিভাবকের সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তারা জানান- বর্তমানে শিশু-কিশোররা বাবা,মায়ের কথা বললে শুনতে চায় না।বলি এই পথে যেওয়া না সেই পথে আরও বেশি করে চলে। আর বাধা দিলে ঘরের আসবাব পত্র ভাংচুর করে,তারা আরও জানান, অনেকের ছেলে মেয়েরা তো গাজা,ইয়াবা,সহ নানা ধরনের মাদক সেবন করে অল্প বয়সে।প্রশাসনের লোকজনের কাছে অনেকে ধরাও খায়, তার পর বয়স এবং লেখা পড়ার কথা বিবেচনা করে ছাড়া পেয়ে যায়।নগরীর সচেতন মহল মনে করেন,বরিশালের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি কতৃপক্ষ অনেক ভুমিকা পালন করতে হবে।তাছাড়া অভিভাবকদের আরও দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে।