১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেক্স হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়া সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গতকাল কারাগার থেকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় সম্রাটের চিকিৎসায় সাত সদস্যের বোর্ড গঠন করেছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউশন (এনএসআইবিডি) কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় সম্রাটের চিকিৎসার পরবর্তী ফলোআপ রিপোর্টের বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান হাসপাতালের পরিচালক ডা. আফজালুর রহমান।
এর আগে গতকাল ভোর রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা হওয়ায় সম্রাটকে দ্রুত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এনএসআইবিডিতে নেওয়া হয়। বর্তমানে সিসিইউ-১ এর বেড নম্বর-৩ এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ডা. আফজালুর রহমান বলেন, সম্রাটের অবস্থা স্থিতিশীল। তার সুচিকিৎসার জন্য সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। জরুরি কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি, সেগুলোর রিপোর্ট ভালো। তবুও তাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য অবজারভেশনে রাখতে হচ্ছে। কারণ যে কোনো হৃদরোগের রোগী এলে অবজারভেশনে (পর্যবেক্ষণে) রাখা হয়।
সম্রাটকে ছাড়পত্র কখন দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে ডা. আফজালুর বলেন, তার চিকিৎসার কোনো অবহেলা করা হচ্ছে না। আজ (মঙ্গলবার) ছুটির দিন সত্ত্বেও চিকিৎসকরা সময় দিচ্ছেন। মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল মেডিকেল বোর্ড মিটিং বসবে। সেখানেই সবকিছু বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তার চিকিৎসা চলবে নাকি ডিসচার্জ করা হবে।
বড় কোনো পরীক্ষা বাকি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে আজ যেটাকে ছোট বলছেন কালই সেটা বড় হতে পারে। কারণ হৃদরোগ বলে কথা।
সম্রাটের চিকিৎসায় সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ডা. আফজালুর রহমান। বোর্ডের বাকি সদস্যরা হলেন- প্রফেসর মীর জামাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক মহসিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক কাজী আবুল আজাদ, সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল হক সিয়াম ও সার্জারি প্রধান রামপদ সরকার।
কারা সূত্র বলছে, সম্রাটকে কারাগারে দেওয়ার সময় তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ড এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসার কাগজপত্রের কপি দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৮ সালে সে হাসপাতালে সম্রাটের হৃদযন্ত্রে পেসমেকার লাগানো হয়। সে অনুযায়ী চলতি মাসেই সেই পেসমেকারের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কথা।