১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ফুলেল শুভেচ্ছায সিক্ত মেনন বানারীপাড়ায় তহশিলদার ও সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ যুবকের আত্নহত্যা, বাড়িতে খালু শ্বশুরের ঘুষি, সালিশে মেম্বারের দেওয়া থাপ্পড় না কি স্ত্রীর ওপর অভিমান বাবুগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতির সাথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় ৫’শ পেঁপে গাছ কেটে দেয়ার প্রতিবাদে কৃষকজোটের মানববন্ধন ও সমাবেশ বাবুগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন গাবখান সেতুর টৌলপ্লাজায় ভয়াভয় দূর্ঘটনায় দায়ী ঘাতক ট্রাকচালক ও সহযোগী আটক মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা গলায় তিল থাকা নারীদের যেসব গুণ থাকে বরিশালে হাসপাতালের প্রিজন সেলে খুনের ঘটনায় ৩ কারা পুলিশ বরখাস্ত
পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে টুকরো টুকরো করলেন স্ত্রী

পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে টুকরো টুকরো করলেন স্ত্রী

পরকীয়া প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করেছেন স্ত্রী। শুধু তাই নয়, হত্যার পর তার মরদেহের টুকরো রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন। ৯ বছর আগে এমন রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। দীর্ঘ তদন্তের পর অবশেষে পরকীয়া প্রেমিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পুলিশের লেগে গেছে ৯ বছর। ২০১১ সালের এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা জানতে পায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তার পরকীয় প্রেমিক এতে জড়িত। গাড়িচালক প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী শকুন্তলার সঙ্গে ওই গাড়িচালক কামালের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। দিল্লি পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেমিক কামালের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বামী রবিকে হত্যার নকশা করেছিলেন শকুন্তলা। তারা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী রবিকে হত্যার পর তার মরদেহ কয়েক টুকরো করে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন।

২০১২ সালে এই পলিগ্রাফ টেস্টে এই হত্যা মামলায় নতুন আলামত পায় পুলিশ। পাঁচ বছর পর পুলিশ নিহত রবির স্ত্রীর ব্রেইন ম্যাপিং পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষায় রবিকে হত্যায় স্ত্রী শকুন্তলার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত কামালের সঙ্গে শকুন্তলার সম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে রবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরও কামালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন শকুন্তলা। বিয়ের এক মাসের মাথায় স্বামী রবিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এ কাজে তাকে সহায়তা করে প্রেমিক কামাল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী শকুন্তলা স্বামীকে নিয়ে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে প্রেমিক কামালকে ডাকেন তিনি। পরে সেখান থেকে একটি ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করে, এই ট্যাক্সির চালকও তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতেন। রাস্তায় চলার সময়ই গাড়ির ভেতরে হত্যা করা হয় রবিকে। একাজে সহায়তা করায় ট্যাক্সির চালককে ৭০ হাজার রূপি দেন অভিযুক্তরা।

২০১১ সালে নিহত রবির বাবা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে দিল্লি পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখার কাছে এই হত্যা মামলা হস্তান্তর করা হয়। প্রধান অভিযুক্ত শকুন্তলা ও তার প্রেমিক কামালের ব্রেইন ম্যাপিং টেস্ট করার পর এই মামলার প্রকৃতি একেবারে পাল্টে যায়। ব্রেইন ম্যাপিং টেস্ট করার পর এ দুই অভিযুক্ত পালিয়ে যান। পরে আলওয়ার থেকে কামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে কামাল জানান, রবিকে হত্যার পর তারা মরদেহ টুকরো টুকরো করেন। পরে একটি নির্মাণ স্থাপনার পাশে কিছু অংশ পুঁতে ফেলেন ও কিছু অংশ আলওয়ার থেকে রিওয়ারির রাস্তায় ফেলে দেন।

তবে রবিকে পুঁতে রাখার স্থান থেকে অন্তত ২৫ টুকরো হার উদ্ধার করে পুলিশ। শকুন্তলা বর্তমানে গর্ভবতী; তবে পলাতক রয়েছেন।

সূত্র : এনডিটিভি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019