১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ অপরাহ্ন, ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ক্যাসিনোকাণ্ডে সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ২০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনে করা পৃথক দুই মামলায় তার ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আগামীকাল বুধবার সম্রাটের উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ রিমান্ডের শুনানি হবে।
সোমবার রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রমনা থানা পুলিশ সম্রাটের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রমনা থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাতে সম্রাটের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা আগামী বুধবার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
তিনি জানান, এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত তারও রিমান্ড ও গ্রেপ্তার শুনানি একই দিনে ধার্য করেছেন।
সোমবার বিকেল ৪টায় র্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা দুটি করেন। এর মধ্যে মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।
রোববার ভোর পাঁচটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের মুনীর হোসেন চৌধুরীর বাসা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে বাসা ও কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব।
কাকরাইল কার্যালয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এই আদেশ দেন। পরে সম্রাটকে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার হওয়ায় এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।