০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, মঙ্গলবার, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবীতে রিনা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতণ চালিয়েছে তার স্বামীসহ পরিবারের লোক জন। স্থানীয় দু‘জন চৌকিদার তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। গত ৪ অক্টোবর রাতে উপজেলার নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রিনা বেগম ওই গ্রামের বাদল হাওলাদারের স্ত্রী ও বাদুরা গ্রামের আলম হাওলাদারের মেয়ে। এ ঘটনায় রিনা বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী বাদল (৩৫), শশুর ফজলুল হক হাওলাদার (৫৫), শাশুরী রাবেয়া বেগম (৫০) ননদ জেসমিনকে বিবাদী করে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত রিনা বেগম জানান, প্রায় ১২ বছর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বাদলের সাথে তার বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে ৯ বছর বয়সী একটি পুত্র ও ৫ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তোনের জন্ম হয়। বিয়ের প্রথম দিকে তার স্বামী বাদল হাওলাদারকে ব্যবসার জন্য ১ লাখ টাকা এনে দিলে বাদল ওই টাকা নষ্ট করে ফেলে। এর পরে বাদল পুণঃরায় আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসতে থাকে। রিনা বেগমের বাবা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর (রিনা বেগম) চলতে থাকে বিভিন্ন নির্যাতণ। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ অক্টোবর রাতে যৌতুকের দাবিতে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতণ চালায়। এক পর্যায় স্বামী বাদল তাকে (রিনা বেগম) জবাই করতে গেলে শিশু দুটির আত্ম চিৎকারে এলাকার লোকজন ছটে আসে। এসময় রিনা বেগমকে মৃত্যু ভেবে তারা স্বামী বাদল জনৈক ওলিউল ইসলামকে মুঠোফেনে রিনা বেগম অসুস্থ্য বলে পালিয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুমুজ্জামান লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।