২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি করলেন আ.লীগ নেতা

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বিক্রি করলেন আ.লীগ নেতা

আজকের ক্রাইম ডেক্স :: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর এক লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের সাতপাকিয়া পুকুরপাড় এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এই ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত সেলিম রেজা খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান।

খোকসা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস জানিয়েছেন, যার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেবল সেই ব্যক্তিই ওই ঘরে বসবাস করতে পারবেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর কোনোভাবেই বিক্রি বা হস্তান্তরের সুযোগ নেই। সরকারি আশ্রয়ণের ঘর বিক্রি করা আইনত অপরাধ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খোকসা উপজেলার ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘরের বরাদ্দ পান হারুন অর রশিদ (৭৫)।

তবে আইন লঙ্ঘন করে সেই ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে মন্টু ব্যাপারীর কাছে। স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি কিনে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন মন্টু ব্যাপারী।

আর হারুন অর রশিদ থাকেন ওই ঘরের বারান্দায়। সেলিম রেজা দেড় লাখ টাকায় ঘরটি বিক্রি করেছেন মন্টু ব্যাপারীর কাছে। মন্টু ব্যাপারী ও হারুন অর রশিদ উপজেলার সাতপাকিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় সাতপাকিয়া গ্রামে ১৩টি ঘর নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন।

এর মধ্যে একটি ঘরের বরাদ্দ পান হারুন অর রশিদ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ঘরের চাবি দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। হারুন অর রশিদ বারান্দার এক কোনায় কাপড় ও টিন দিয়ে ঘেরা মেঝেতে বসে আছেন। ভয়ে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

হারুন অর রশিদের মেয়ে খাদিজা খাতুন বলেন, ‘অনিয়মের মাধ্যমে আমার বাবার বরাদ্দকৃত ঘরে মন্টু ব্যাপারী থাকেন।

আমার বাবার ঘর বাবাকে দেওয়া হোক। ঘরের বারান্দায় খুব কষ্ট করে বাবা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘরটি বুঝে পেলেই আমরা খুশি।’

এ ঘটনায় মন্টু ব্যাপারীর স্ত্রী মুসলিমা খাতুন বলেন, খোকসার ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজার মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গত ২৪ এপ্রিল ঘরটি কিনেছি।

আমার কাছে ৩০০ টাকার লিখিত স্ট্যাম্প রয়েছে। হারুন অর রশিদ বৃদ্ধ মানুষ। তাই ঘরের বারান্দায় থাকার জায়গা দিয়েছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাছুম মোর্শেদ বলেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবেন। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019