২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, ক্ষোভে ঘটককে কুপিয়ে হত্যা

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, ক্ষোভে ঘটককে কুপিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় ঘটককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের মানাজি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটক আব্দুল জলিল (৬০) ইলেকট্রনিক্স দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি ঘটকালির কাজও করতেন।

আব্দুল জলিলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সংসার জীবনে এক ছেলে এক মেয়ের বাবা তিনি। চার বছর আগে মানাজি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আলমাসের (২০) বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন আব্দুল জলিল।

জানা যায়, চার বছর আগে স-মিল শ্রমিক আলমাসের সঙ্গে ডলি আক্তারের (২০) বিয়ে হয়। কিন্তু সংসারে বনিবনা না হওয়ায় ছয় মাস আগে দুই বছর বয়সী শিশু সন্তানকে রেখে ডলি তার বাবার বাড়ি চলে যান। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে চান আলমাস। এজন্য ঘটক জলিলকে বারবার অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু ডলিকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন জলিল। এরই জের ধরে জলিলকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন আলমাস। এ ঘটনার পর থেকে আলমাসসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

আলমাসের মামা আল আমীন জানান, এরই মধ্যে আলমাস ও ডলির ডিভোর্স হয়েছে। বৈবাহিক জীবনে কলহের জের ধরে জলিলের ওপর আলমাসের ক্ষোভ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমাসের দাদি রাহাতন বেওয়ার সঙ্গে কথা বলছিলেন জলিল। ঘটককে দেখে অন্যঘর থেকে দা নিয়ে ছুটে এসে তার মাথায় ও ঘাড়ে কোপ দেন আলমাস। এতে ঘটনাস্থলেই জলিল মারা যান। পরে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় আলমাস।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। স্ত্রী চলে যাওয়ায় ঘটকের ওপর আলমাসের ক্ষোভ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019