০৬ মে ২০২৪, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেছেন, বরিশালের গণমানুষের অধিকার নিয়ে আমি কাজ করায় আমাকে কিছু করতে না পেরে পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। এ জন্য আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তীকে রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বরিশালের ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
এতে লিখিত বক্তব্যে ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বিজয় দিবসের ৪৮ বছরে এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এক ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হল আমাদের। আমার বাবা তপন চক্রবর্তী একজন সর্বজন পরিচিত গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং ঠাকুরদা সুধীর কুমার চক্রবর্তী মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি মিলিটারির হাতে শহীদ হন।
তিনি বলেন, আমার বাবাকে রাজাকারের তালিকায় ৬৩ নম্বর এবং আমার ঠাকুর মা ঊষা রানী চক্রবর্তীকে ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা শুধু একটি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সঙ্গেই নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব মানুষের জন্যই একটি লজ্জাজনক ঘটনা।
এই তালিকার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।