২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বাবাকে টুকরো করে সুটকেসে ভরে ভাসিয়ে দেয় নদীতে মে। আজকের ক্রাইম নিউজ

বাবাকে টুকরো করে সুটকেসে ভরে ভাসিয়ে দেয় নদীতে মে। আজকের ক্রাইম নিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
সুটকেসে ভরা পচাগলা দেহাংশগুলো জড়ানো ছিল একটি সোয়েটারে। যে দোকান থেকে সোয়েটারটি বানানো তার নাম লেখা ছিল পিঠে লাগানো ট্যাগে। সেই সূত্র ধরেই হত্যা-রহস্যের জাল ছাড়াল ভারতের মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।

তদন্তে উঠে এল, ২৭ নভেম্বর বেনেট রিবেলো নামে ৫৯ বছরের এক গিটার বাদককে মুম্বাইয়ের দ্বারকা কুঞ্জে তার নিজের বাড়িতেই খুন করে দত্তক কন্যা ১৯ বছরের আরাধ্যা পাটিল ও তার প্রেমিক। তারপর মরদেহ ছোট ছোট টুকরো করে সুটকেসে ভরে ভাসিয়ে দেয় নদীতে। মাহিম সৈকত থেকে উদ্ধার হয় সেই সুটকেসটি।
তদন্তে জানা গেছে, বেনেটকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরি গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আরাধ্যা ও তার ১৬ বছর বয়সী প্রেমিক। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করে দেয়। বেনেট মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ ছুরি গিয়ে টুকরো করে অভিযুক্তরা। ওই অবস্থায় দেহ তিন দিন ফ্ল্যাটেই ছিল। সেই তিন দিন অভিযুক্তরাও ওই ফ্ল্যাটে ছিল। পরে মরদেহের টুকরোগুলো তিনটি সুটকেসে ভরে স্থানীয় মিঠি নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, দেহাংশগুলো জড়িয়ে রাখা সোয়েটারটিই ছিল তাদের হাতে থাকা একমাত্র সূত্র। সোয়েটারে লাগানো ট্যাগ থেকে জানা যায়, সেটি কুরলা এলাকার একটি দোকান থেকে বানানো। সেই দোকানে গিয়ে দর্জির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সোয়েটারটি বানিয়েছিলেন বেনেট রিবেলো নামে এক ব্যক্তি। এরপরে পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ শুরু করে বেনেটের। ফেসবুকে ওই নামের প্রোফাইলগুলো খুঁজতে থাকে তারা।

একটি প্রোফাইলে দেখা যায়, একই সোয়েটার পরা বেনেটের ছবি। সেখান থেকে তার ভিজিটিং কার্ডের ছবিও পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে দ্বারকা কুঞ্জের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। জানতে পারে, বেনেট একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। তারপরই আরাধ্যা ওরফে রিয়া ও তার প্রেমিককে আটক করে জেরা শুরু করে। জেরায় দুই অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করে।

আরাধ্যা জানায়, বেনেট তাকে যৌন হেনস্থা করতেন। তাদের সম্পর্ক নিয়েও আপত্তি ছিল বেনেটের। সেই ক্ষোভ থেকেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে বাবাকে খুন করে সে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019