১৯ মে ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে স্বামীর আত্মহত্যা চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান সুন্দরগঞ্জে বাধার মুখে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ পটুয়াখালীতে ফোন চাওয়ায় মায়ের বকাঝকা, এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার রাতে স্কুল ছাত্রী ও গৃহবধুর আত্মহত্যা বরিশাল নগরী বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে ট্রাফিক পুলিশের সচেতনমূলক অভিযান বাবুগঞ্জে অভিভাবক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জনগনের ভালবাসায় এগিয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী চায়না খানম ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা মামলায় কারাগারে মাদরাসা সুপার চাঁদপাশায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা বিনতে ওহাব এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
আট আসরের চারবারই টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব

আট আসরের চারবারই টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব

অনলাইন ডেস্ক
আসরজুড়ে ব্যাটে বলে দুর্দান্ত সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠতে পারলেন না ফাইনালে। নাটকীয় ফাইনালে দল হেরেছে মাত্র এক রানে। তবে পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ২৮৪ ও বল হাতে ১৫
এ নিয়ে আট আসরের মধ্যে চারবারই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতলেন সাকিব।

বিপিএলের জন্মলগ্ন থেকেই যে এ ট্রফিটার ওপর নিজের অধিকার জমিয়ে রেখেছেন একজন। সাকিব আল হাসান। এর আগে তিন টিনটা আসর সেরার গাড়ি গ্যারেজে গেছে তার। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি তার। এর আগে ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৮ আসর সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার।

আধুনিক যুগের ক্রিকেটে এ রকম যে কোনো আসরে ক্রিকেটারদের দেওয়া হয় ফ্যান্টাসি পয়েন্ট। ম্যাচজুড়ে তাদের ব্যাটিং, বলিং, ফিল্ডিং এমনকি ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাদের কার্যকলাপ বিবেচনায় নেওয়া হয় এখানে। বিপিএলের শুরু থেকে দেওয়া সেই পয়েন্টে সবার থেকে এগিয়ে সাকিব আল হাসান। ১১ ম্যাচের তার পয়েন্ট ৯১১ এর বেশি। আর হবেই বা না কেন? টুর্নামেন্টের সেরা ১০ রান সংগ্রাহকের মধ্যে নাম আছে তার। ইকোনমি, স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় নিলে তার ধারে কাছে নেই অন্য কেউ। আর অধিনায়কত্ব তো সেভেন্টি ফাইভকে নিয়ে গেছে অনন্য এক মাত্রায়।

সাকিব বিপিএলে কি করেছেন তার একটা ধারণা পরিসংখ্যান দেখলেই পাওয়া যাবে। যদিও পরিসংখ্যানও সবকিছু বলতে পারে না। মাঠে সাকিব কতটা প্রভাব রাখে তা বুঝতে গোটা টুর্নামেন্ট গভীরভাবে অবলোকন করলে তবেই বোঝা যায়। তবুও একবার সাকিবের পারফরম্যান্সে চোখ বুলানো যাক।

টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে সাকিবের রানসংখ্যা ২৮৪। ১১ ম্যাচে ১১ ইনিংসে ব্যাট করে এই রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেটটাও চমৎকার। ১৪৪.১৬ স্ট্রাইক রেটে ২৪ চার ও ১৫ ছয়ে এই রান সাকিবের। তিনটি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন সাকিব। মিস্টার অলরাউন্ডার বল হাতেও সেরাদের সেরা। উইকেট নিয়েছেন ১৬টি। সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তিনে থাকা সাকিবের গুরুত্ব বুঝতে তাকান তার ইকোনোমি রেটের দিকে। মাত্র ৫.১৪ ইকোনোমিতে রান দিয়েছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে সাতের ওপরে ইকোনমিও সমীহ জাগানোর মতো। সেখানে সাকিব কিপ্টে বোলিংয়ে যে চাপ তৈরি করেছেন তাতেই প্রতিপক্ষ অনেকটা ব্যাকফুটে চলে গেছে।

সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স। এর ধারে-কাছেও নেই আর কোনো ক্রিকেটার। ব্যাট এবং বলের এমন দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স দিয়েই সাকিব নিজ দল বরিশালকে টেনে তুলেছেন ফাইনালে।

এর আগে আরও তিনবার বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার অনন্য রেকর্ড করেন তিনি। প্রথম দুই আসরেই টানা বিপিএল সেরা হয়েছিলেন সাকিব। প্রথমবার তার দল খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস সেমিফাইনলে বিদায় নিলেও ২৮০ রান এবং ১৫ উইকেট দখল করে তিনি হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা।

এরপর ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে আবারও টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমারের পুরস্কার জেতেন সাকিব। সেবার তিনি ৩২৯ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি। এরপর আরও একবার সাকিবের হাতেই ওঠে আসর সেরার পুরস্কার। সেটা ছিল গতবারের আগেরবার। সেবার ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ৩০১ রান করার পাশাপাশি ২৩ উইকেট দখল করে সেরা পারফরমার হয়েছিলেন সাকিব। আর এবার নিয়ে হলেন চতুর্থবার।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019