০৪ মে ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ তিন বছর পর জামিনে কারামুক্ত মামুনুল হক দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে, অতঃপর… সাংবাদিককে হুমকি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: মিলার দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন
ভিক্ষুকদের টাকা হাতিয়ে নিলেন ৩ ইউপি সদস্য। আজকের ক্রাইম-নিউজ

ভিক্ষুকদের টাকা হাতিয়ে নিলেন ৩ ইউপি সদস্য। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স

সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার পরিষদের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে। তারা দুস্থ, অসহায় ও ভিক্ষুকদের মতো প্রান্তিক পর্যায়ের সাড়ে তিন শতাধিক মানুষের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই জনপ্রতিনিধিরা। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝাঁপা বাঁওড়ের তীরবর্তী বাগেরালী গ্রামের জীর্ণ একটি ঘরে বসবাস রেবেকা বেগমের। সেখানেই অসুস্থ স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে খোলা পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। ২০ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া ঘরের ছাউনির এক পাশের খাটটিতে সন্তানকে রেখে পাশের অংশে মাটিতে মাদুর বিছিয়ে রাত্রিযাপন করেন তারা। আশ্রয়ণ-২ জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঘর দেয়া হবে বলে তার কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসেন স্থানীয় মেম্বার আব্দুর রশিদ। রেবেকা তার ও ছেলের নামে ঘরের জন্য সুদে ২০ হাজার টাকা এনে মেম্বারকে দেন। এরপর কেটে গেছে তিন বছরেরও অধিক সময় কিন্তু ঘর মেলেনি তাদের ভাগ্যে।

কেবল রেবেকা নয় তার মত দরিদ্র শত শত নারী পুরুষের কাছ থেকে ঘর দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু, নারী ইউপি সদস্য লাকী খাতুন, শাহিনারা খাতুন, ইউপি সদস্য ইউছোপ আলী, আব্দুর রশিদ এবং ইউনিয়নের নারী উদ্যোক্তা ডলি খাতুন। তাদের প্রতারণার শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হতদরিদ্ররা।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঝাঁপার ইউপি সদস্য লাকী খাতুন ও চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু। তাদের দাবি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করছে।
আর মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ পেয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে ঝাঁপা ইউনিয়নে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আশ্রয়ণ-২ জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় ১০৩টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, যা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019