২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০০ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
২০১৮ সালের বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করেছে বর্তমান সরকার। নতুন করে অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনীতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে অভিযুক্ত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সকলেই মুক্তি পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, `সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনীর আওতায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা, তদন্ত ও সাজা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পেয়েছেন।’
নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ এবং এসব ধারায় সহায়তার অভিযোগে চলমান সব মামলা ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল বলে গণ্য হবে। এসব ধারার অধীন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সব সাজা ও জরিমানাও বাতিল হিসেবে বিবেচিত হবে।
এছাড়া একই বৈঠকে ব্যক্তিগত ডাটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-ও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, `নতুন অধ্যাদেশগুলোর মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। এখন থেকে ডাটা ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকবে।’
২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই সাংবাদিক, লেখক, অধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা ছিল। ওই আইনে বহু ব্যক্তি গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হয়েছেন—এই সিদ্ধান্তকে তাদের অনেকেই স্বাগত জানাতে পারেন।’