২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড় কোটি টাকার সড়ক উন্নয়ন কাজ দেড় বছরেও শুরু হয়নি। সড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়ার দেড় বছর পার হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ১৩০টি গাছ। কর্তনের অনুমতি না পাওয়ায় থমকে আছে প্রকল্পটি।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়ক বুড়িমুটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে- বোচাগছ গ্রামের ১৫২০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট প্রস্থের একটি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪০৮ টাকা চুক্তিমূল্যে প্রকল্পটির কার্যাদেশ দেওয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবু তোয়বুর রহমান আবুকে। কাজের সময় সীমা ১১ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা থাকলেও কার্যাদেশ দেয়ার দেড় বছর পার হলেও সড়কের নির্মাণ কাজ শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদার।
৫ আগষ্টে হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে আত্মগোপনে চলে যায় আওয়ামী লীগ নেতা ঠিকাদার আবু তোয়াবুর। আত্মগোপনে থেকেই ঠিকাদার আবু তোয়বুর রহমান প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন রাওজুল কারিম নামে অন্য ঠিকাদারকে। তিনিও নানা চেষ্টার পরও গাছ না কাটার কারণে কাজ শুরু করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন।
ঠিকাদার রাওজুল কারিম বলেন, দেড় বছর ধরে ঘুরছি উপজেলা প্রকৌশলী ও নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই। গাছ না কাটলে কাজ শুরু করব কীভাবে? এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
উপজেলা প্রকৌশলী ঈদ্রিস আলী খান জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গাছ কাটার জন্য একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। সর্বশেষ ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো গাছ কাটার অনুমোদন মেলেনি। গাছ কাটা হলেই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহিন খসরু বলেন, সড়কটির গাছগুলো সামাজিক বনায়নের আওতায় থাকায় কাটার উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি বন বিভাগের এখতিয়ার। তবে আমি প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দিয়েছি দ্রুত সমাধানের জন্য।
এ বিষয়ে জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ জামান বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। গাছ কাটার অনুমতির প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।