২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলায় গত ১ বছরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে ৮ হাজার, একই সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার দম্পতি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৮ হাজার ১০৬টি বিবাহ হয়েছে।অন্যদিকে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৫২১টি।
জেলার চারটি উপজেলার বিচ্ছিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায় পারিবারিক অস্থিরতা, ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা, পরকীয়া, বাল্যবিবাহ, বনিবনা না হওয়া ও মতবিরোধসহ নানা কারণে দাম্পত্য সম্পর্কের ছেদ ধরেছে।তা পরে রুপ নেয় বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনায়।আলাদা আলাদা উপজেলার মধ্যে দেখা যায়
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিবাহ হয়েছে ২ হাজার ২২৬টি, বিচ্ছেদ ২ হাজার ১৭৭টি। আলমডাঙ্গায় বিবাহ হয়েছে ২ হাজার ৪৩১টি, বিচ্ছেদ ১ হাজার ২৩৭টি। দামুড়হুদায় বিবাহ হয়েছে ১ হাজার ৮২৮টি, বিচ্ছেদ ৯২১টি। জীবননগরে বিবাহ হয়েছে ১ হাজার ৬২১টি, বিচ্ছেদ ১ হাজার ৯৬টি।
সব মিলিয়ে গত বছর জেলার চার উপজেলায় মোট বিবাহ হয়েছে ৮ হাজার ১০৬টি, আর তালাক বা বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৫২১টি।যা মোট বিবাহের প্রায় ৬৮ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী সামসুল হক জানান, “বিবাহবিচ্ছেদের পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে পরকীয়া। এছাড়া সংসারে বনিবনা না হওয়া, স্বামীর প্রবাসজীবন, পারস্পরিক অবিশ্বাসসহ নানা কারণ রয়েছে।”
জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, বেশিরভাগ তালাকের উদ্যোগ নারীদের দিক থেকেই আসছে। বিশেষ করে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে তালাকের হার বেশি।
দাম্পত্য জীবনের এ ভাঙনের কারণে বাড়ছে সামাজিক ও মানসিক সংকট। সন্তানরা বেড়ে উঠছে অবহেলা ও অনিশ্চয়তার মাঝে।