২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামে হাজেরা খাতুন নামের সাত বছরের একটি শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎমায়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ঘরের ভেতর বালতির মধ্য থেকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে সৎমা পলাতক রয়েছেন।
নিহত হাজেরা কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা মো. হারুন অর রশীদ পাবনার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। প্রথম স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার পর হাজেরা বাবার কাছে বড় হচ্ছিল। দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. রুবি খাতুনের ঘরে যমজ সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে হাজেরা সৎমায়ের কাছে যায়। এরপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের ভেতর একটি বালতির মধ্যে বস্তাবন্দী অবস্থায় পাওয়া যায় শিশুটির নিথর দেহ।
শিশুটির ফুফু মোছা. হাসি খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ও তো শুধু ভালোবাসা চাইত। জানি না কী অপরাধ করেছিল যে এমন নির্মম পরিণতি হলো।’
দাদি মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘আমার নাতনির খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কামারখন্দ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে গলা টিপে বা বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সৎমা পলাতক রয়েছেন।’