১৭ মে ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, ১৮ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা প্রেসক্লাবে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় দর্শনা প্রেসকক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী সুমন আহম্মেদ।
এসময় প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সুমন আহম্মেদ লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানান, গত ২৫ মার্চ আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে আমার দখলভুক্ত রিজ নামে খাজনা দেয়া জমি দখলকারী মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আমরা সংবাদ সম্মেলন করছি।
আমি ও আমার চাচাত ভাই মিন্টু দুজন খোকাই মল্লিকের ওয়ারিশসূত্রে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার অধীন ৭৭নং শ্যামপুর মৌজার ১২৯৯ দাগে ০৫৯০ একর, ১৩০৯ দাগে ০৫৯৬ একর, ১২১৭/১৬৩২ দাগে ০৩৫৪ একর জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক। উক্ত জমিগুলোর আমরা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে নিজ নিজ নামে সরকারি করাদি প্রদান পূর্বক খারিজ করেছি। কিন্তু বিবাদী (১) মোঃ বরকত মল্লিক (কেরুজ ট্রাক ড্রাইভার) (৫৪), পিতা মৃত- মোবারক মল্লিক (২) মোঃ রফিক মাস্টার (৫০), পিতা মোঃ সেলিম উদ্দীন, সাং- বিষ্ণপুর, দামুড়হুদা, বর্তমানে কর্মরত: দামুড়হুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দামুড়হুদা। (৩) মোঃ আহাদ হোসেন (৩০), পিতা মোঃ ছানোয়ার হোসেন, সাং- লোকনাথপুর, (৪) মোঃ শামসুল মহুরী, সাং- রামনগর, দমুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৬/৭ কিছু ভূমিদস্যু। তাহারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের নিজস্ব জমাজমি নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে আমাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন সহ হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে সাংবাদিককের মিথ্যা ও ভুল বুঝিয়ে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এই জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জমি বণ্ঠনের বিষয়ের আমরা চুয়াডাঙ্গা কোর্টে ৪৭/২০২৪ নং বন্টন মামলা দায়ের করি। যাহা বর্তমানে চলমান আছে। এই কারণে তাহারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ০৫/০৩/২০২৫ তারিখে দামুড়হুদায় সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে আমার উপর আক্রমন করে আমাকে শারীরিকভাবে জখম করে। পরে আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় রক্ষা পাই। পরবর্তীতে আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে গত ১১/০৩/২০২৫ তারিখে দামুড়হুদা উপস্থিত হলে পুনরায় পরিকল্পিতভাবে আমার উপর আক্রমন চালায়। তখন আমি নিজ প্রাণ রক্ষার্থে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তায় রক্ষা পায়। পরে আত্মরক্ষার জন্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা দামুড়হুদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পরবর্তীতে আমার উপর আক্রমনের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে বিষয়টি অবগত করিলে বিবাদীগণ উপস্থিত হয়ে মুচলেকা প্রদান করে ফিরে আসে। তার পরও তারা আমার ও আমার পরিবারবর্গকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে অসত্য ও বানোয়াট কথাবার্তা অপ্রচার করে চলেছে। যা আমার ও আমাদের পরিবারের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তারা আমাদের যে কোন সময় জান মালের ক্ষতি করতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাদের এহেন অপরাধের আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করার জন্য সকলের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।