২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
দর্শনায় আবারো বোমা সাদৃশ্য উদ্ধার হয়েছে। এনিয়ে এক মাসের ব্যবধানে দর্শনা হতে রেকর্ড সংখক বোমা সাদৃশ্য উদ্দার হলেও প্রকৃত বোমা সঠিক রহস্য উদ্ধার হয়নি।
শুক্রবার ভোরে দর্শনা মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পিছনে কেরুজ ইট খোলা মাঠে পথচারীরা একটা সাদা ব্যাগ দেখতে পেয়ে দর্শনা থানায় খবর দেয়।পরে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে একদল ফোর্স এসে তা দেখতে পেয়ে উদ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সকালে সাধারন মানুষ ওই এলাকায় একটি সাদা ব্যাগের কাঠের গুড়ার উপর লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তুু দেখতে পায়। পরে তারা দর্শনা থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ এলাকা টি ঘিরে রাখে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমির বলেন, একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তুু পাওয়া গেছে এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। পরে এটি উদ্ধার করে পানির ভিতরে রাখা হবে। পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে বোমা নাকি ককটেল। তিনি আরো বলেন এর আগে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে উদ্ধারকৃত ৬টি বোমার মধ্যে দুইটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেয়া হয়েছে। আগের ৪টি ও আজ উদ্ধারকৃত ১ টি মোট ৫ টি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।উল্লেখ্য গত ১৩, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি দর্শনা কেরু চিনিকল এলাকা থেকে পৃথক পৃথক ভাবে ৬ টি বোমা উদ্ধার করা হয়। একদিনের ব্যবধানে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে ৭ টি বোমা উদ্ধার করা হয় যার মধ্যে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়ে গোটা এলাকা প্রকম্পিত হয়ে যায়। পরে রাজশাহী রেপিড একশন ব্যাটালিয়নের-৫ ইউনিট ও যশোর সেনানীবাসের ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের বোম ডিসপোজাল ইউনিট তা নিস্ক্রিয় করেছিল। সে বিষয়েও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল।