১৫ মে ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃচুয়াডাঙ্গার
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে ষ্টেশন পরিদর্শন করলেন রেলওয়ে পশ্চিমজোনের কর্মকতার্রা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পশ্চিমজোনের উচ্চ পযার্য়ের একটি টীমটি দর্শনায় পৌছায়। এরপর
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশন, দর্শনা জয়নগর ভারতের গেদে সীমান্ত জিরো পয়েন্ট এলাকা সহ বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করে ঐ টিম। এবিষয় পশ্চিমজোনের ব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম তিনি বলেন, দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী ট্রেন, রেল পথে ভারত থেকে আমদানী ও রপ্তানী, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশনের আশে,পাশে অবৈধ্য দখল স্থাপনা উচ্ছেদ, রেল বন্দরের ইয়ার্ড উন্নয়ন, রেলষ্টেশনের অব-কাঠামোর উন্নয়ন, ওয়াটার সাপলাই লাইনে উন্নয়ন ও রেলওয়ের সমস্যা গুলো দেখতে এসেছি। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশন পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশের দর্শনা জয়নগর ভারতের গেদে সীমান্ত জিরো পয়েন্ট এলাকা পরিদর্শন করে ঐ টিম। পশ্চিমজোনের উচ্চ পযার্য়ের কর্মকতাদের আসার খবরে “দর্শনার জন্য আমরা সংগঠন” এর আনন্দোলনকারী লোকজন তাদের দাবী নিয়ে পৌছান স্টেশন চত্বরে। পশ্চিমজোনের উচ্চ পযার্য়ের কর্মকতাদের কছে দাবীগুলো তুলে ধরেন, আনোয়রুল ইসলাম বাবু, রবিউল আলম বাবু, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন ও দর্শনা রেল বাজারের ব্যবসায়ীরা। এসব দাবীর মধ্যে দর্শনা আন্তর্জাতিক ষ্টেশন থেকে রাজশাহী পর্যন্ত একটি আন্তঃনগর ট্রেন ও লোকার ট্রেন চালু করা, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন ট্রেন ও চিত্রা আন্তনগর ট্রেন আপ এ্যান্ড ডাউনে দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে স্টপেজ। দর্শনা ও খুলনার মধ্যে ডাবল লাইন স্থাপনসহ ৯টি দাবী সম্বলীত একটি লিফলেট তুলে দেন পশ্চিমজোনের ব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলামের হাতে। দীর্ঘদিনের দাবী দর্শনাবাসী দাবী এসব করে আসছে। এ দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন ট্রেন আপ ও ডাউনে থামানো হবে এবং দর্শনা আন্তর্জাতিক ষ্টেশন থেকে রাজশাহী ট্রেন দেওয়ার ব্যপারে আশ্বাস দেন পশ্চিমজোনের কর্মকতার্রা। দর্শনাবাসীর দাবীর কথা শোনেন উপস্থিত প্রধান প্রকৌশলী অশাদুল ইসলাম, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান, প্রধান সংকেত টেলি যোগাযোগ কর্মকতা শাহিদুজ্জামান, চীপ অপারেটর সুপারিন্ডেন্টেন আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া, চীপ কমারশিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস দর্শনাবাসীকে আশ্বাস দেন। তাদের দাবী পযার্য়ক্রমে মেনে নেয়া হবে। এরপর ১৫ জনের ঐ উচ্চ পযার্য়ের কর্মকতারা দর্শনা আন্তর্জাতিক ষ্টেশন ও দর্শনা জয়নগর ও ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট রেলপথ ঘুরে দেখেন। এরপর দুপুরের পর পশ্চিমজোনের ঐ টিম চলে যায় তাদের গন্তব্যে। চলে যাওয়ার সময় তাদের ভাষ্যমতে অচিরেই দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলষ্টেশন নানা আবকাঠামোর উন্নয়ন হবে এবং খুলনার মধ্যে চলাচলকারী সুন্দরবন ট্রেনটি আপ-ডাউনে থামবে বলে জানান।