১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে নিরাপত্তা জোরদার, ১৩ স্পটে তল্লাশি চৌকি সাতক্ষীরায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন বানারীপাড়ায় হত্যাকান্ডের শিকার কৃষকদল নেতা আঃ লতিফের মৃত্যুতে শোকসভা ও দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত বরিশালের বাবুগঞ্জে ভি-ডব্লিউ-বি কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ উদ্বোধন নতুন ক‌রে বাংলাদেশ গড়া আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকার: আনিসুর রহমান খোকন পর্যটকবাহী নৌকাডুবি : পশুর নদে নিখোঁজ বরিশালের মেয়ে সাবেক নারী পাইলটের লাশ উদ্ধার প্রতিবন্ধী মনিরকে অচেতন করে অটোরিকশা চুরি না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে পরিবার বাবুগঞ্জে ইউপি সদস্যের পুত্রকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তেঁতুলিয়ায় অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বর্ণালংকারসহ চার লাখ লুঠ থানায় মামলা ঘোড়াঘাটে দাবিহীন ১৫’শ দলিল পুড়িয়ে বিনষ্ট
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর কৃষকের প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত হলো ঝালকাঠি সদর উপজেলার ইকো পার্ক

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর কৃষকের প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত হলো ঝালকাঠি সদর উপজেলার ইকো পার্ক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো “তারুণ্যের উৎসবে কৃষকের আনন্দ”—একটি বর্ণাঢ্য আয়োজন, যেখানে কৃষি ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য একসূত্রে গাঁথা হয়ে ধরা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো: রায়হান কাওছার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) (যুগ্মসচিব) মো: সোহরাব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশরাফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফারহানা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় লোকসংগীত “আমার মাইঝ্যা ভাই, সাইঝ্যা ভাই”, যার সঙ্গে কৃষক পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর একে একে আয়োজন করা হয় বউ সাজানো প্রতিযোগিতা, যেখানে স্বামী চোখ বেঁধে তাঁর স্ত্রীকে সাজান, তৈলাক্ত কলাগাছে ওঠার প্রতিযোগিতা, যা দর্শকদের মধ্যে হাস্যরসের জন্ম দেয়, এবং বউ কোলে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতা, যা ছিল উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।

এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা, বস্তা দৌড়, দড়ি টানাটানি ও দাড়িয়াবান্ধা—এমন সব ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, যা আমাদের শেকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় কৃষকেরা উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন, আর দর্শকরাও প্রাণভরে উপভোগ করেন এই আয়োজন।

এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কৃষকদের তারুণ্যের উৎসবে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের দেশগঠনে উদ্বুদ্ধ করা। কৃষিই বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পরিবেশবান্ধব কৃষির প্রসার ঘটাতে ও কৃষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তরুণদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। এই ধরনের আয়োজন কৃষকদের পরিশ্রম ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে কৃষির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে—এটাই সকলের প্রত্যাশা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019