১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২৮ অপরাহ্ন, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায়
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ও সদর উপজেলা চত্বরে শেখ মুজিবসহ শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভেঙে গুড়িয়ে ও বুলডোজার দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকসহ শেখ মুজিবের ম্যুরাল ছাত্র-জনতা ভেঙে দিয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে যান। এসময় তারা জেলা প্রশাসক চত্বরে স্থাপিত শেখ মুজিব ও ফজিলাতুন্নেচ্ছার মুর্যাল গুড়িয়ে দেয়।এসময় তারা অবশিষ্ট স্থাপনা হাতুড়ি, কুড়াল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ভাঙচুর করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় পুরো স্থাপনা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে শহরের পৌরসভার মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখানেও শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।পরে ভবনের ভেতরে ঢুকে শেখ হাসিনার ছবিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের ছবি ভাঙচুর করে। একই কায়দায় তারা পরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর ও জেলা পরিষদ চত্বরে যেয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরালে ভাঙচুর করে।
এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জনে জনে খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগানে শহর প্রকম্পিত হতে থাকে।
ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের মুজিব ম্যুরালের কবর রচনা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। স্বৈরাচারের যে স্মৃতিচিহ্ন আছে, সেগুলো আমরা নির্মূল ও উচ্ছেদ করব। এই বার্তাটা সারাদেশকে জানান দেয়ার জন্যেই আজকের এই কর্মসূচি। আমরা এটা আগামী প্রজন্মকে একটা ম্যাসেজ দিতে চাই, পরবর্তীতে যদি কোনো স্বৈরাচার মাথা উচু করে দাঁড়াতে চায়, তাহলে তার যেন বুকে কাপনি ধরে।’।অন্যদিকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনা দেশব্যাপী যে ফ্যাসিবাদী চিহ্ন রেখে গেছেন, আমরা তা নিশ্চিহ্ন করতে আজ এখানে একত্র হয়েছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভারতে পালিয়ে গিয়েও ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা ওর হুমকির জবাব দিতে চাই। আমরা জানাতে চাই আর কোনোদিন আওয়ামী লীগের স্থান বাংলায় হবে না।