১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৮ অপরাহ্ন, ১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি, সোমবার, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃচুয়াডাঙ্গার দর্শনা হল্ট স্টেশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও স্থানীয় জনতা রাতে ঢাকাগামী সুন্দরবন ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন তিন মিনিট যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে।
রবিবার দুপুর দেড়টার দিক থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়। এ সময় ওই রুটে অন্য কোনো যাত্রী বা মালবাহী ট্রেন যাতায়াত করতে পারেনি।দর্শনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভির আহম্মেদ অনিক জানান, ‘দর্শনা একটি শিল্প ও সীমান্ত শহর। যেখানে একটি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও রেলবন্দর রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় জেলার মানুষ এখানে চাকরির সুবাদে বসবাস করে থাকেন। কিন্ত দর্শনা হল্ট স্টেশনে রাতে খুলনা-ঢাকাগামী সুন্দরবন ও ঢাকা-খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ না থাকার কারণে আমরা দর্শনাবাসীর সাথে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্শনা হল্ট স্টেশনে এসে পৌঁছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক ও স্থানীয় জনগণ ট্রেনটি আটকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। একপর্যায়ে শ্লোগান দিয়ে রেল লাইন অবরোধ করেন।’পরে
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের পাকসী বিভাগের ডিভিশনাল ট্রাফিক অফিসার (ডিটিও) মোছা: হাছিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ‘আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে স্টপেজ দেয়ার নিয়ম নেই, দর্শনার ঘটনাটি আমরা শুনেছি। রাজশাহী ও ঢাকার উর্ধ্বতন রেল কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল ও চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্পের ক্যাপটেন জাহাঙ্গীর হোসেনের সমঝোতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও স্থানীয় জনগণ অবরোধ তুলে নেয়।