০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোহাম্মদ নাঈম মোঘল বানারীপাড়া প্রতিনিধি : বানারীপাড়া পৌর যুবদলের দুই যুগ্ন আহ্বায়ক এর নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে বানারীপাড়া বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীসহ দলীয় নেতা কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নিশাত ইমরান হাওলাদার বলেন ২০০৩ সাল থেকে বানারীপাড়া পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলাম। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দলের সাথে সম্পৃক্ত আছি বিগত ফেসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বিভিন্ন হামলা ও মামলা স্বীকার হয়েছি বিভিন্নভাবে বিচলিত হওয়ার পরেও দল ত্যাগ করেনি। গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর কিছু দুষ্কৃতিকারী বানারীপাড়া বিএনপির নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে বানারীপাড়া থানা বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীর নামে আপত্তিকর পোস্ট দেয়। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাজে উত্তেজনা বিরাজ করে এক সময়ে স্ট্যাটাস কে কেন্দ্র করে আমাদেরকে সন্দেহ করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্বের রাজনীতির কিছু মত পার্থক্যের কারণে ১৭ সেপ্টেম্বর মিথ্যে একটি নাটক সাজিয়ে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন নিশাত ও ইমরান হাওলাদার সহ দোকানি রবিউল ইসলাম সাগরকে আসামি করে পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুস সালাম বাদি হয়ে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় আব্দুস সালাম এর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় এবং তাকে পথরোধ করে তার কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগে শুধু আমাদের নয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে চাঁদাবাজি দল হিসেবে সম্মোধন করে নিচু করা হয়েছে বলে আমরা দাবি করছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বানারীপাড়া ও উজিরপুরের দুর্দিনীর কান্ডারী এস শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ভাইয়ের কাছে এর সঠিক বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে পৌর যুবদলের আহবায়ক কাইমুদ্দিন ডালিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলায় যে স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বানারীপাড়া গ্রীন লাইফ হাসপাতালে সামনে সেখানে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে এবং এটি নির্জন কোন এলাকা নয় এখানে এমন কোন কোন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমার মনে হয় না এবং নিশাত ও ইমরান কোন পরিবারের সন্তান তা বানারীপাড়া বাসী ভালো করেই জানে। তারা দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ আমরা কোনদিন পাইনি। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানা বিএনপির সদস্য সচিব রিয়াজ মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১৭ তারিখের ঘটনা কেন যদি ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর থেকে এখানে কোন ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি কারণ ঘটনাস্থানের পাশেই আমার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এটা নির্জন কোন এলাকা নয় আমি হলপ করে বলতে পারি এখানে কোন চাঁদাবাজি কিংবা অন্য কোন ঘটনা ঘটেনি ওরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শিকার এটা সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে তাহলে আমি আমার রাজনৈতিক পথ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অতি দ্রুত তদন্ত করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত না হলে আমাদের দলের ভারসাম্য নষ্ট হবে।