০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, ৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, বুধবার, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মোহাম্মদ নাঈম মোঘল বানারী পাড়া প্রতিনিধি: বানারীপাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে বানারীপাড়া মাছরং গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ ইয়াসিন আল শোয়েব গত ২২-১০ ২০২৩ ইং রোজ রবিবার বানারীপাড়া ডিগ্রী কলেজে ল্যাব সহকারী ( তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) পদে অধ্যক্ষের কার্যালয় নিয়োগ পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন ঐদিন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হলেও মূল পরীক্ষা ব্যবহারিক নেওয়া হয়নি এবং ওই দিনই ফলাফল ঘোষনা করার কথা থাকলেও সকল প্রার্থীদের জানানো হয় যে পরবর্তীতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীতে ফলাফল জানতে গেলে জানা যায় অধ্যক্ষের পছন্দের প্রার্থী নূরনবী অন্তরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অধ্যক্ষের পছন্দের প্রার্থীর বাবা ওই কলেজের গভানিং বডির অভিভাবক সদস্য জাহিদ হোসেন ফারুকের পুত্র। কিন্তু যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার কিভাবে চালাতে হয় সেটা তো সে জানেনা রক্ষণাবেক্ষণ তো দূরের কথা এ বিষয়ে তার কোন ধারণাই নেই। এ বিষয়ে ডিগ্রী কলেজে জানতে গেলে জানা যায় নুর নবী অন্তর কলেজের দুটি কম্পিউটার পুড়িয়ে ফেলেছে দায়িত্বে থাকা ল্যাবের প্রধান শিক্ষিকা বলেন অধ্যক্ষ মহোদয় আমাকে অন্তরকে শিখিয়ে দিতে বলেছেন আমি তাকে শিখাচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযোগকারী শোয়েবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ভালো ভাবে পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকে পরীক্ষার ফলাফল না দিয়ে অধ্যক্ষের একক সিদ্ধান্তে অন্তরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেএকজন অদক্ষ কম্পিউটার সম্বন্ধে তার কোন ধারণাই নেই এটি একপ্রকার অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা বলাযায় জানতে চাওয়া হয় তাৎক্ষণিক অভিযোগ কেন করলেন না তিনি জানান তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অভিযোগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু কেউ নেইনি কারণ অন্তরের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা ও গভনিং বডির সদস্য ছিলেন যার ফলে কেউ গুরুত্ব দেয়নি । এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অন্তরা হালদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দেওয়া হয়েছে প্রমাণ হলে বিধি অনুযায়ী আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ল্যাব সহকারী অন্তরকে ফোন দিলে তার ফোনে পাওয়া যায়নি পরবর্তীতে তার বাবা ফারুককে ফোন করা হলে তিনি বলেন আমার ছেলে কেন আরো অনেকেই কলেজে অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। প্রসঙ্গত কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে কিছুদিন পূর্ব থেকে শিক্ষার্থীরা ১৮টি অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সে অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন যার তদন্ত চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে অধ্যক্ষ আফরোজা বেগম ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারীর ফোন রেকর্ড যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যাতে স্পষ্ট উল্লেখ করে অধ্যক্ষ বলেছেন তোকে তো নিয়োগ দিয়েছি আমি বর্তমানে ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ আফরোজা বেগমকে নিয়ে জনমনে রহস্যের প্রশ্ন জেগেছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চেয়ে তার মুঠো ফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। অপর একটি সূত্র থেকে জানা যায় অধ্যক্ষ আফরোজা বেগম শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়েছেন জানান কিন্তু তার কোন লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি তিনি দীর্ঘদিন যাবত কলেজে অনুপস্থিত রয়েছেন।