২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মো: নাঈম মোঘল বানারীপাড়া থেকে, বানারীপাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ২০১৮ সালে মার্চ মাসে বানারীপাড়া ও উজিরপুরের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ তালুকদারের সুপারিশে মোটা অংকের অর্থ ব্যায়ে আফরোজা বেগম বানারীপাড়া ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকবৃন্দ এবং অভিযোগের ফিরস্তি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি হ্যান্ড বিল ছড়িয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হলো অধ্যক্ষের একক সিদ্ধান্তে কলেজের শহীদ মিনার জৈনিক অভিভাবক প্ররোচনায় ভেঙে এবং বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। নতুন শহীদ মিনারের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন আজওঅব্দি ~শহীদ~ মিনার করেননি পাশাপাশি টাকার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি ভাড়ার ৬০০০ টাকা উত্তোলন করেন যদিও মূল বেতনের ৫% উত্তোলনের বিধান রয়েছে কিন্তু বানারি পাড়ায় থাকেন না । ২০২৩ ও ২০২৪ সালের পিকনিক বাবদ এক লক্ষ টাকা অনুদান পেলেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ৭০০ টাকা চাঁদা নিয়ে কুয়াকাটা যাওয়ার কথা থাকলেও বরিশাল প্লানেট পার্কে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করেন যার কোন হিসাব দেননি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের টাকা উত্তোলন করলেও কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় না এবং ২০২৩ সনে নবীন বরণ করবেন বলে অঙ্গীকার করেও আয়োজন করেননি ।একাডেমিক উন্নয়নের জন্য নিজের মনগড়া মত কলেজ পরিচালনা করেন যা স্বৈরাচারের শামিল। দৈনন্দিন ও আপৎকালীন খরচ প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন যা ব্যয়ের কোন সঠিক হিসাব নেই।
শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রাপ্ত ৫%টাকা ও বাড়ি ভাড়ার ৫% টাকা যথাক্রমে শিক্ষকদের ২১ মাস ও কর্মচারীদের ৫ মাসের টাকা বকেয়া রেখে সুসজ্জিত রুম থাকা সত্ত্বেও ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে বিলাসবহুল নতুন অধ্যক্ষরুম নির্মাণ করেন। অবৈধ সুবিধা নিতে তিনি কিছু কতিপয় শিক্ষকদের ব্যবহার করে অবৈধ কর্ম হাসিল করেন যার মধ্যে কতিপয় শিক্ষক কলেজে না আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে অশালীন ভাষায় কথা বলেন ও অশোভন আচরণ করেন। ল্যাব সহকারি পোস্ট পিয়ন সমতুল্য হলেও তাদেরকে শিক্ষক সমতুল্য মনে করতে হবে এই মর্মে শিক্ষকদের নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্র বাবদ ২০ থেকে ৩০ টাকা খরচ হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১২৫ টাকা করে উত্তোলন করেন। তার আচরণে শিক্ষার্থী অবিভাবকরা ক্ষুব্ধ। পর্যাপ্ত পিয়ন কলেজে থাকা সত্ত্বেও তিনি অবসরপ্রাপ্ত পিয়নকে খন্ডকালীন রাখে তার ছেলেকে মাস্টাররোলে নিয়োগ দেন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নানাভাবে বাধা প্রদান করে থাকেন। সদ্য সমাপ্ত উচ্চ মাধ্যমিক ফরম পূরণের জন্য অর্থ প্রদানের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ করান ৫ বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার শিক্ষার্থীকেও মোটা অংকের টাকার বিনিময় ফরম পূরণ করা হয়েছে যারা দিতে পারেনি তারা পরম পূরণ করতে পারেনি যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কলেজে কোন স্থায়ী ক্যান্টিনের ব্যবস্থা নেই সে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা দাবি করলে তাদের সাথে অশোভনীয় আচরণ করেন । টিউটোরিয়ালের নামে রশিদ ছাড়া টাকা উত্তোলন করেন গরীব শিক্ষার্থীদের এ কলেজে পড়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে অপর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে আগামীকাল রোববার অধ্যক্ষ আফরোজা বেগমের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ মানববন্ধন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত ০১৭৫৯৬৪৬৮১৪ মুঠো ফোনে ফোন করা হলে তিনি তোলেননি।