২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে রুদ্ররূপ: তুলছে বালু ভাঙছে নদী পুড়ছে কপাল কাঁদছে মানুষ চুয়াডাঙ্গায় আলমডাঙ্গায় ড্রাগন বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ১ প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ঝালকাঠির লিটন চন্দ্র হালদার গ্রেফতার আগৈলঝাড়ার বাশাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া মোনাজাত ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভোলার মনপুরায় তাসরিফ লঞ্চে হামলা, আহত ৫। বানারীপাড়ায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন চুয়াডাঙ্গায় কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে বিরত থেকে সর্বোচ্চ পুলিশী সেবা প্রদানের আহবান চুয়াডাঙ্গায় উথলীতে কীটনাশকের দোকানে জরিমানা চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জনতা ব্যাংক পিএলসি’র নতুন ভবনে স্থানান্তরের উদ্ধোধন
ভায়ের অভিযোগ বজলুল হুদাকে ফাঁসিতে নয় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে,মামলার প্রস্তুতি

ভায়ের অভিযোগ বজলুল হুদাকে ফাঁসিতে নয় গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে,মামলার প্রস্তুতি

মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বাসিন্দা
শেখ মুজিবের খুনি মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসিতে নয়, গলা কেটে হত্যার অভিযোগ তুলেছে তার ভাই।তার মতে সেদিন কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির বদলে তাকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিষয়টি মেজর হুদার ছোট ভাই ডিউক হুদাসহ নিকটজনরা প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ করছেন। শুধু তা-ই নয়, তারা এ ব্যাপারে মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। সবকিছু জানার পরও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তারা এতদিন কোনো মামলা করেনি বলেও জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামের মৃত ডা. রিয়াজ উদ্দীন আহমেদের ছেলে মেজর (অব.) বজলুল হুদা। তিনি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা। উচ্চ আদালতের আদেশে ১৪ বছর আগে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাতে মেজর বজলুল হুদার ফাঁসি হয়। কিন্তু ফাঁসির বিষয়টি মানতে নারাজ নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসী।
তারা বলছেন, মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসিতে নয়, গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে বজলুল হুদার গলা কাটার তথ্য গোপন করে রেখেছিল পরিবার ও এলাকাবাসী। চলতি বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন হলে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তারা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুন করে বজলুল হুদাসহ সেনা বাহিনীর কতিপয় সদস্য। বঙ্গবন্ধুকে খুনের দায়ে ফাঁসির আদেশে দণ্ডিত হন খুনিরা। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাতে মেজর (অব.) বজলুল হুদাসহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। হুদার লাশ পরদিন সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগেই কয়েক হাজার পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান নিয়েছিলেন সেখানে। লাশ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৫ মিনিটের মধ্যে লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকেন তার পরিবারকে। কিন্তু পরিবারের সদস্য ও হাজার হাজার উপস্থিত মানুষের চাপের মুখে র্যাব কর্তারা তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটেন। পরিবারের সদস্যরা নতুন করে লাশ গোসল দিতে গিয়ে দেখতে পান কফিনে শুধু রক্ত। লাশ নামানোর পর দেখা যায় মেজর হুদার গলা কাটা, কাটা স্থান জাল বোনার মোটা সুতা দিয়ে সেলাই করা।
মেজর হুদার লাশ গোসল করানো রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা একটা হত্যাকাণ্ড। লাশ জবাই করা ছিল। জবাই করে সুতা দিয়ে সেলাই করা ছিল। কমপক্ষে ৫-৬ ইঞ্চি পরিমাণ কাটা ছিল। তখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019